প্রতীকী ছবি।
স্কুলশিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা টেট নিয়ে আবার আইনি লড়াই! মামলার কেন্দ্রে এ বার উচ্চ প্রাথমিকের টেট।
স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) নিজেদের বিজ্ঞপ্তিকেই মান্যতা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন উচ্চ প্রাথমিক টেট (টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট) উত্তীর্ণ কিছু প্রার্থী। তাঁদের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী শুক্রবার জানান, ২০১৫ সালের উচ্চ প্রাথমিক টেটের ফল বেরোয় ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। উত্তীর্ণ হন তাঁর মক্কেলরা। কিন্তু ওই বছরেই রাজ্য সরকার ফের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, টেট-উত্তীর্ণদের নিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না। পরে উচ্চ প্রাথমিক টেট হলে ২০১৫ সালের উত্তীর্ণ প্রার্থীরা তাঁদের শিক্ষাগত নথি ‘ভেরিফিকেশন’ (যাচাই) করানোর ও ‘কাউন্সেলিং’-এর সুযোগ পাবেন।
প্রার্থীদের আইনজীবী আরও জানান, ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ২০১৫ সালের টেট-উত্তীর্ণদের ক্ষেত্রে ভেরিফিকেশন বা কাউন্সেলিংয়ের ক্ষেত্রে বয়স কোনও বাধা হবে না। ২০১৬ সালে আবার উচ্চ প্রাথমিকের টেট নেওয়া হয়। এসএসসি জানায়, নিয়োগ হবে ১৪,০৮৮ শূন্য পদে। ২০১৫ সালের টেট-উত্তীর্ণদের ২৫০ টাকা জমা দিতে হবে ভেরিফিকেশন ও কাউন্সেলিংয়ের জন্য। সেই অনুযায়ী ২০১৬-র ২৯ সেপ্টেম্বর ওই টাকা এসএসসি-তে জমা দেন মামলার আবেদনকারীরা। ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিক টেটের মেধা-তালিকা প্রকাশিত হয় চলতি বছরের ৬ জুন। আইনজীবী জানান, এসএসসি-র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি পেশ করতে গিয়ে তাঁর মক্কেলরা দেখেন, এসএসসি-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁদের বয়স পেরিয়ে গিয়েছে। ভেরিফিকেশন, কাউন্সেলিং হবে না।
আশিসবাবু জানান, তাঁর মক্কেলরা প্রশ্ন তুলেছেন, এসএসসি নিজেদের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি (৩ জুন, ২০১৫) মানছে না কেন? ভেরিফিকেশন, কাউন্সেলিংয়ের জন্য তাঁদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা নেওয়াই বা হল কেন? আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।