আলোচনার কথা বললেও ভাঙড়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে আন্দোলনকারীদের আক্রমণ করেছেন, তার পাল্টা প্রতিবাদে নামছে বিরোধীরা। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস আজ, বুধবার ভাঙড়ে মিছিলের ডাক দিয়েছে। বামেদের ১৭টি দলের তরফে ভাঙড়ের গ্রামবাসীদের জন্য অর্থসংগ্রহ এবং খাদ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি চলবে।
মিছিলের ডাক দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী মঙ্গলবার বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ভাঙড়ে অস্ত্র কেনার জন্য ভেনেজুয়েলা থেকে টাকা আসছে। ভেনেজুয়েলা নিজেরা খেতে পাক না পাক, তারা ভাঙড়ে টাকা পাঠাচ্ছে! আন্দোলনকারী কৃষকদের কেন ইউএপিএ ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে অভিযুক্ত করা হচ্ছে, তার জবাব মুখ্যমন্ত্রীকে দিতে হবে।’’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের মন্তব্য, পাহাড়, চা-ধর্মঘট বা ভাঙড়— সব ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা থেকে মনে হচ্ছে, তাঁর ‘সন্দেহবাতিক’ জেগে উঠেছে! সূর্যবাবু বলেন, ‘‘কার্টুন-কাণ্ডের সময়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাঙড়ে তাঁর দলের জমি-মাফিয়ারা অস্ত্র নিয়ে কী করছে, তিনি সব জানেন। অথচ চক্রান্ত খুঁজে পাচ্ছেন!’’ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সমীর পূততুণ্ড, পার্থ ঘোষেরাও। তাঁদের প্রশ্ন, আরাবুলের নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনীর দাপিয়ে বেড়ানোর ছবি রয়েছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী অস্ত্র রাখার জন্য দোষ দিচ্ছেন গ্রামের আন্দোলনকারীদের। প্রশাসনের ভূমিকা নিরপেক্ষ নয় কেন, প্রশ্ন তাঁদের।