কোতোয়ালি থানায় ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সিআইডি। —ফাইল চিত্র।
৪৫ লক্ষ টাকা সরানোর মামলায় এ বার প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল মেদিনীপুর সিজেএম আদালত।
ভারতী এবং তাঁর এক সময়ের দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডলের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়েছিল সিআইডি। শুক্রবার পরোয়ানা জারি হয়েছে।
মেদিনীপুর সিজেএম আদালতের সরকারি আইনজীবী সৈয়দ নাজিম হাবিব মানছেন, “ভারতী ঘোষ এবং সুজিত মণ্ডলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।” দাসপুরে প্রতারণা মামলায় আগেই ভারতীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। এদিন ফল ব্যবসায়ী ইউনুস আলি মণ্ডলের দায়ের করা টাকা আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হল।
দাসপুর সোনা প্রতারণা মামলায় ধৃত ভারতী স্বামী এমভি রাজুকে এ দিন মেদিনীপুরের বিশেষ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হয়। শুনানিতে সিআইডির আইনজীবী দাবি করেন, রাজু প্রভাবশালী। তিনি জেলের বাইরে থাকলে মামলার তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারেন। দু’দফায় ন’দিন সিআইডি হেফাজতে ছিলেন রাজু।
তবে এ দিন নতুন করে রাজুকে নিজেদের হেফাজতে চায়নি সিআইডি। রাজুর আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। এই আবেদনের বিরোধিতা করেন সিআইডির আইনজীবী দীপকরঞ্জন ঘোষ। বিচারক ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত মঙ্গলবারই রাজুকে নিয়ে তাঁর নাকতলার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিআইডি। তল্লাশিতে ল্যাপটপ, হার্ডডিক্স এবং কিছু নথি আটক করেছেন তদন্তকারীরা। তল্লাশিতে যে এ সব মিলেছে তা এ দিন আদালতেও জানান সিআইডির আইনজীবী। রাজুর সঙ্গে দেখা করতে এদিন অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মেদিনীপুর আদালত চত্বরে এসেছিলেন তাঁর দাদা সহ একাধিক পরিজন।
৮ অগস্ট রাজুকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।