প্রতীকী ছবি।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সুপারভাইজ়ার শূন্য পদের নিরিখে গোটা দেশে পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় স্থানে, উত্তরপ্রদেশের পরেই। আজ নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক লোকসভায় প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের পরেই পশ্চিমবঙ্গে সব থেকে বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সুপারভাইজ়ার শূন্য পদ রয়েছে। ব্লক স্তরে সিডিপিও বা চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসার পদেও শূন্যস্থানের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ তৃতীয়। আগে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। উত্তর দিয়েছেন রাহুলকে অমেঠীতে ভোটে হারিয়ে মন্ত্রী হওয়া স্মৃতি ইরানি। আইসিডিএস প্রকল্পে ব্লক স্তরে সিডিপিও-রা দায়িত্বে থাকেন। গ্রাম স্তরে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা সুপারভাইজ়ারের অধীনে কাজ করেন। সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ৪,৭৭৯টি সুপারভাইজ়ারের অনুমোদিত পদের মধ্যে ৩,৪৩৩টি পদই খালি পড়ে রয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ৩,৮১৫টি পদ খালি। সিডিপিও-র ক্ষেত্রে ৫৭৬টি অনুমোদিত পদের মধ্যে ১৯৩টি খালি পড়ে রয়েছে।
স্মৃতি ইরানির মন্ত্রক জানিয়েছে, অঙ্গনওয়াড়ি পরিষেবা প্রকল্প কেন্দ্রীয় সহায়তাপ্রাপ্ত প্রকল্প। রাজ্য সরকার তা রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে। সময়ে সময়ে রাজ্য সরকারগুলিকে শূন্য পদ পূরণের পরামর্শ দেওয়া হয়। নিয়মিত কর্মী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ঠিকা-কর্মী নিয়োগের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “২০০৭ সালে বামেদের আমলে শেষ নিয়োগ হয়েছিল। অস্বচ্ছ ভাবে সেটা হতো। ২০১৪ সাল থেকে আমরা ব্যাপারটা দেখছি। এতে আইনগত অনেক জটিলতা ছিল। তার পরে নিয়োগ শুরু হয়। ২৯৫ জন সিডিপিও এবং ১৩৪৬ জন সুপারভাইজ়ার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। গত বছর থেকে কোভিডের কারণে প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রত্যেকে স্বাস্থ্যসাথী এবং টিকার আওতায় আনা হয়েছে। তবু এই প্রকল্পে কেন্দ্রের অবদান কমছে।”
শশী পাঁজা জানিয়েছেন, আগে কেন্দ্র-রাজ্য ৭৫:২৫ ভাগে অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পের খরচ জোগাত। এখন সেটা ২৫:৭৫ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রতি বছর অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়কদের ভাতাবৃদ্ধি করছেন।