কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পাওয়ার কোনও স্পষ্ট আশ্বাস পেল না পশ্চিমবঙ্গ। ফাইল চিত্র।
দু’দিন ধরে বৈঠকের পরেও রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য থেকে গেল। আবাস যোজনা থেকে একশো দিনের কাজ— কোনও ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পাওয়ার কোনও স্পষ্ট আশ্বাস পেল না পশ্চিমবঙ্গ।
রাজ্যগুলিতে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে গত কাল ও আজ বৈঠক ডেকেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিবেরা। রাজ্যের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিব পি উলগানাথন। গত কাল আবাস যোজনার পরে আজ একশো দিনের কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। কিন্তু ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে একশো দিনের কাজে টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। নবান্নের হিসাবে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে পাওনা রয়েছে রাজ্যের। রাজ্য পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রের নিয়ম মেনে প্রকল্প চালানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও দিল্লি থেকে টাকা পৌঁছয়নি রাজ্যে। এর জন্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল। দফায় দফায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের কাছে চিঠি লিখে দরবার করেও লাভ হয়নি।
একশো দিনের কাজে অনিয়মের বড় কারণ ছিল ভুয়ো জব কার্ড বিলি। বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি ছিল, রাজ্যে প্রায় চার লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড রয়েছে। যার মাধ্যমে গত দশ বছর ধরে রাজ্য বেআইনি ভাবে কেন্দ্রের কয়েক হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। শুভেন্দু ভুয়ো কার্ডের অভিযোগ তুললেও, সূত্রের মতে, আজকের বৈঠকে জব কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযোগের প্রশ্নে অন্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ ভাল করেছে বলে মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। সূত্রের মতে, রাজ্যের প্রায় ৯৫% জব কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তি হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রও মনে করে এর ফলে ভুয়ো কার্ড দেখিয়ে টাকা তোলা আগামী দিনে বন্ধ করা সম্ভব। দুই কার্ডের সংযুক্তির প্রশ্নে দেশের প্রথম পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে থাকলেও, বকেয়া টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের প্রতিনিধিকে দু’দিনের বৈঠকে কোনও আশ্বাস দেননি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কর্তারা।