—ফাইল ছবি
এক মাস হল দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছে ভাই। ভাইয়ের রাজনীতিতে আসা নিয়ে সব থেকে বেশি আপত্তি ছিল যাঁর, সেই দাদাই এরপর ধরলেন মাইশোরা অঞ্চলে তৃণমূলের হাল। শুধু হাল ধরাই নয় রীতিমতো পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের মতো বৃহস্পতিবার সমস্ত দলীয় পঞ্চায়েত সদস্য, বুথ সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করলেন। নির্দেশ দিলেন, ভাইয়ের খুনের বদলা নিতে এলাকা থেকে দলকে ১০ হাজার ভোটে জেতাতে হবে।
কুরবান শা খুন হন গত মাসে। পরিবহণ মন্ত্রী মাইশোরো এলাকায় দলের ভার দিয়েছেন তাঁর দাদা আফজলের হাতে। যিনি রাজনীতিতে একেবারেই আনকোরা। দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ২২ অক্টোবর মাইশোরা এলাকায় এলাকায় জন সংযোগে যান আফজল। এদিন সকাল ১১ টায় আফজল যান মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। খোঁজ নেন এলাকার উন্নয়নমূলক কাজগুলির হাল হকিকত নিয়ে। বিকাল ৪টের সময় মাইশোরায় দলীয় কার্যালয়ে হয় দলীয় বৈঠক। সেখানে ছিলেন মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ২৬টি বুথের দলীয় সভাপতি, দলের নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা, মাইশোরা অঞ্চল তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্যেরা।
মাইশোরা এলাকায় পঞ্চায়েতের যে সমস্ত কাজ থমকে রয়েছে, বৈঠকে দলের নির্বাচিত সদস্যদের সেগুলি দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন আফজল। পাশাপাশি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মাইশোরা এলাকা থেকে যাতে দলকে ১০ হাজার লিড দেওয়া যায় সেই ব্যাপারে উপস্থিত সবাইকে নির্দেশ দেন আফজল। আফজল বলেন, ‘‘আমার ভাইয়ের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করতে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা পালন করবই। আমার ভাইকে খুন করিয়েছে বিজেপির এক নেতা। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মাইশোরার মানুষ বিজেপিকে জবাব দেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে আগামী বিধানসভায় মাইশোরা এলাকায় আমরা ১০ হাজার ভোটের লিড ধার্য করেছি।’’
রাজনীতিতে নতুন আফজলের মুখে পোড় খাওয়া রাজনীতিকদের মতো কথা শুনে উজ্জীবত দলীয় কর্মীরাও। বৈঠকে ছিলেন নিহত কুরবানের ছায়াসঙ্গী ইমরান আলি। ইমরান বলেন, ‘‘কুরবানদা খুন হওয়ার পর মাইশোরায় দলের হয়ে নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে চিন্তা ছিল। আফজলদা রাজনীতিতে নতুন। কিন্তু প্রথম বৈঠকে আফজলদা যে ভাবে দলীয় নেতাদের গাইড লাইন বেঁধে দিলেন, তাতে আমরা আশাবাদী। কুরবানদার অভাব এতটুকুও বুঝতে দেননি আফজলদা।’’