আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। —ফাইল ছবি।
ডাক্তারির লাইসেন্স বাতিলের আগে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বক্তব্য শুনতে হবে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল এই নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এ-ও বলেছেন যে সন্দীপ বর্তমানে জেলবন্দি। তাই মেডিক্যাল কাউন্সিল তাঁকে যে কারণ দর্শানোর (শো-কজ়) নোটিস ধরিয়েছিল তার প্রেক্ষিতে সন্দীপের তরফে তাঁর স্ত্রী উত্তর দেবেন। আদালতের নির্দেশ, সন্দীপের স্ত্রীকে বক্তব্য পেশের পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে হবে এবং তার পরে ২২ নভেম্বরের মধ্যে সন্দীপের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে কাউন্সিলকে।
আর জি কর কাণ্ডের পরে ওই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট এবং দুর্নীতির নানা অভিযোগ উঠেছে। দু’টি মামলাতেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। সন্দীপ গ্রেফতার হওয়ার পরে তাঁর লাইসেন্স বাতিল করেছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। রাজ্যের বৈধ চিকিৎসকদের তালিকা থেকেও তাঁর নাম বাদ পড়ে। তার পরে গত ১৪ অক্টোবর কাউন্সিলের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিচারপতি পার্থসারথি সেনের এজলাসে মামলা করেন সন্দীপ। কিন্তু জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন খারিজ করে কোর্ট।
এ দিন সন্দীপের আইনজীবী বলেন, লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পর সন্দীপ নিজের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ পাননি। জেলে বন্দি থাকায় কাউন্সিলের কারণ দর্শানোর নোটিসেরও জবাব দিতে পারেননি। সন্দীপের বক্তব্য না শুনেই তাঁর লাইসেন্স বাতিল করে ও রাজ্যের চিকিৎসক তালিকা থেকে নাম মুছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কাউন্সিল।