বিধায়ক হিসেবে শপথ নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিধানসভায়। নিজস্ব চিত্র
বিধায়ক পদে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তবে আমন্ত্রণ সত্ত্বেও বিরোধী বিজেপি বিধায়কদের অনুপস্থিতিতে তরজায় জড়িয়েছে দু’পক্ষ।
বিধায়কদের শপথের চেনা নিয়ম ভেঙে গিয়েছে এ দিন। মমতা-সহ নবনির্বাচিত আরও দুই বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল। তবে এ বারের এই শপথ নিয়ে গোড়ায় রাজভবন ও বিধানসভার মধ্যে যে টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল শপথের পরে চায়ের টেবিলে তাতেও ইতি পড়ল মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই।
পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ীই এ দিন বেলা দুটোর আগে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে হাজির হন রাজ্যপাল। প্রথা মতো বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়ে অধিবেশন কক্ষে নিয়ে আসেন। প্রথম শপথ নেন মমতা। তার পরে জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন এবং শমসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। শপথ সেরে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে রাজ্যপালকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান মুখ্যমন্ত্রী। তার পরে স্পিকারের ঘরে দীর্ঘক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, পরিষদীয়মন্ত্রী কথাবার্তা বলেন। জানা গিয়েছে, রাজভবন ডাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের কয়েকটি দফতরের অফিসারেরা তাঁর কাছে না যাওয়ায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাজ্যপাল। তবে সে সব নিয়ে আলোচনা বিশেষ এগোয়নি।
এ দিনের শপথ অনুষ্ঠানে সব বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন স্পিকার। সেই সঙ্গে রাজ্যের সব সাংসদদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বিরোধীরা না এলেও শাসক দলের বহু বিধায়কই মুখ্যমন্ত্রীর শপথে হাজির ছিলেন। শপথে এসেছিলেন বিধায়ক মুকুল রায়ও। লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ চার জন তৃণমূলের সাংসদও হাজির হন দলনেত্রীর শপথে।
অনুপস্থিতি নিয়ে বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শপথ গ্রহণের মতো অনুষ্ঠানেও যারা রাজনীতি করেন, গণতন্ত্র সম্পর্কে তাদের মনোভাব নিয়ে সংশয় হয়।’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবশ্য বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর শপথ ছিল না। শপথ নিয়েছেন তিন বিধায়ক। আমাদের বিধায়কেরা বন্যাত্রাণের কাজে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য শুভেচ্ছা রইল।’’