Didir Suraksha Kavach Programme

‘দিদির দূত’ মালাকে ডিএ নিয়ে প্রশ্ন, সাংসদের ‘নালিশের’ পরে সতর্ক করা হল প্রধান শিক্ষককে

বসুমিত্রার দাবি, উনি নিয়ম মেনে স্কুলে আসেন না। মিড-ডে মিলের জন্য দেওয়া নতুন বাসনপত্র ব্যবহার করেন না। রাজ্যের তরফে দেওয়া জল পরিশোধনের যন্ত্রও ব্যবহার না করে ফেলে রেখেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:৪০
Share:

তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। ছবি: সংগৃহীত।

‘দিদির দূত’ সাংসদ মালা রায়কে ডিএ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন প্রধান শিক্ষক। ‘প্রতিদানে’ পেলেন স্কুলে অব্যবস্থা নিয়ে নালিশ ও সেই প্রেক্ষিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ থেকে তাঁকে সতর্ক করে দেওয়া বার্তা।

Advertisement

বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির জেনাডিহি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাক্ষীগোপাল রায়কে সতর্ক করেই ক্ষান্ত হয়নি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ, তার চেয়ারপার্সন বসুমিত্রা পাণ্ডে শুক্রবার বলেন, “ওই শিক্ষকের নিয়মানুবর্তিতা নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে। অবর স্কুল পরিদর্শক ওঁকে সতর্কও করেছিলেন। নতুন করে ফের ওঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় সতর্ক করা হয়েছে।” ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে? বসুমিত্রার দাবি, উনি নিয়ম মেনে স্কুলে আসেন না। মিড-ডে মিলের জন্য দেওয়া নতুন বাসনপত্র ব্যবহার করেন না। রাজ্যের তরফে দেওয়া জল পরিশোধনের যন্ত্রও ব্যবহার না করে ফেলে রেখেছেন।

সাক্ষীগোপালের পাল্টা দাবি, “দীর্ঘ ২০ বছর ধরে শিক্ষকতা করছি। কোনও অভিযোগ ওঠেনি। সাংসদের কাছে শুধু ডিএ কবে পাব, জানতে চেয়েছিলাম। তার পরেই এ দিন আমাকে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। এবিপিটিএ করি, সেটাও হয়তো একটা কারণ।” এবিপিটিএ-র বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক বিমান পাত্রেরও অভিযোগ, “যে অভিযোগগুলি উঠেছে, তা গুরুতর কিছু নয়। বিরোধী শিক্ষক সংগঠন করার জন্যই সাক্ষীগোপালকে নিশানা করা হচ্ছে।” এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।

Advertisement

আসরে নেমেছে বিজেপিও। এ দিন গঙ্গাজলঘাটি ব্লক অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা। দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিংহ বলেন, “শিক্ষকের অপমান আমরা মেনে নেব না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement