প্রতীকী ছবি।
ওমিক্রনে লাগাম টানতে সোমবার থেকেই চালু হয়েছে নিয়ন্ত্রণবিধি। কিন্তু জনজীবনে রাশ টানার প্রথম রাতেই বিপাকে পড়েছেন শহরের বিভিন্ন শপিং মল-রেস্তরাঁ কিংবা পানশালার কর্মীদের একাংশ।
সরকারি বিধিতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, রাতের অনুশাসন বা নৈশ-বিধি অনুসারে রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। সরকারি এবং বেসরকারি বাস-মেট্রোর সঙ্গেই শহরতলির দিকের লোকাল ট্রেন চলাচলও বন্ধ থাকবে ওই সময়ে। পাশাপাশি হোটেল-রেস্তোরাঁ কিংবা পানশালায় ঝাঁপ ফেলার সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে— রাত ১০টা। এখন প্রশ্ন, ১০টায় তাঁদের কর্মস্থল বন্ধ হওয়ার পরে, গণপরিবহণের সুবিধা তাঁরা পাবেন কী করে?
নিউটাউন এবং দক্ষিণ কলকাতার দু’টি পরিচিত মলের দুই কর্মীর কথায়, ‘‘১০টায় মল বন্ধ হবে। কাজকর্ম বুঝিয়ে দোকান বন্ধ করতে আরও অন্তত আধ ঘণ্টা। কিন্তু তত ক্ষণে তো ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শহরতলির বাড়িতে ফিরব কী করে!’’ ধর্মতলা এলাকার বেশ কয়েকটি পানশালার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেও শোনা গিয়েছে একই প্রশ্ন। তাঁদেরই এক জন গণেশ সাহু বলছেন, ‘‘আমি থাকি ঠাকুরপুকুরে। ১০টায় পানশালা বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তো বার হওয়া যায় না। কাজকর্ম গুটিয়ে বাড়ির পথে নামতে আরও অন্তত আধ ঘণ্টা। রাস্তা তো তত ক্ষণে জনশূন্য!’’ বাবলু দাস মধ্য কলকাতার অন্য এক পানশালার কর্মী। তিনি বলেন, ‘‘সোদপুরের বাড়িতে ফেরার জন্য শিয়ালদহ থেকে রাতের ট্রেন ধরতাম। দশটায় পানশালা বন্ধ হওয়ার পরে কোনও ভাবেই তো শেষ ট্রেন ধরতে পারব না। রাতভর স্টেশনেই থাকতে হবে মনে হচ্ছে!’’
বিভিন্ন শপিং মলে কেনাকাটা করতে আসা বা রেস্তরাঁ-পানশালায় আসা মানুষজনের ক্ষেত্রেও প্রশ্নটা জরুরি বলে মনে করছেন অনেকেই। কলকাতার একটি পরিচিত হোটেলের এক কর্মকর্তা বলছেন, ‘‘সকলেই যে গাড়ি নিয়ে আসছেন এমন নয়। ফলে বাড়ি ফেরার জন্য গণপরিবহণ তাঁরা পাবেন কি না, তা অনিশ্চিত। আবার নিজের গাড়ি নিয়ে এলেও কেউ যদি রাত ১০টায় রেস্তোরাঁ থেকে বার হন, তা হলেই বিধি অনুসারে তাঁকে পুলিশের অনুশাসনের মুখে পড়তে হবে। এখন উপায়!’’