ভাল নম্বর নয়, চাই ফুল মার্কস! মঙ্গলবার বারাসতে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০ শতাংশ ‘ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি’ করানোর নির্দেশ দিলেন।
কিন্তু এ রাজ্যে মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে তৎপরতা কি সীমাবদ্ধ থাকবে প্রসবকালেই? কেন্দ্রের সাম্প্রতিক রিপোর্ট দেখে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রের রিপোর্ট জানাচ্ছে, ‘ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারির’ হার এ রাজ্যে ইতিবাচক। এ দিনের বৈঠকে প্রসূতির কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার প্রত্যন্ত এলাকায় প্রয়োজনে মোবাইল ক্যাম্প বাড়ানোর দিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন অবশ্য প্রসব-পরবর্তী স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে আলোচনা হয়নি।
ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এ রাজ্যের ৭২% গ্রামীণ মহিলার ‘ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি’ হয়। কিন্তু সন্তান প্রসবের দু’দিনের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স বা কোনও স্বাস্থ্যকর্মীর দ্বারা মায়ের প্রথম শারীরিক পরীক্ষা হয় মাত্র ৫৮ শতাংশের। শহরে ৮৩% মহিলার ‘ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি’ হলেও সন্তান প্রসবের দু’দিনের মধ্যে প্রথম শারীরিক পরীক্ষা ৬৮ শতাংশের হয়। এমনকী বেশ কিছু এলাকায় প্রসবের পরে মায়ের শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে কি না, সে সম্পর্কে তথ্যই নেই।
স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মা এ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। সদ্যোজাতের স্বাস্থ্যে তাই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হলেও অনেক সময় গুরুত্ব না বোঝায় রেকর্ড থাকছে না।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গিতে প্রশাসনের দায়িত্ব আছে: মমতা
মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্তা শ্রীপর্ণা ঘোষ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রসবের পরেই মায়ের নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তা হলে কেন সে দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না!’’ সমস্যা স্বীকার করে এ রাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তা গুলাম আনসারি বলেন, ‘‘প্রসবের পরে মায়ের স্বাস্থ্যের নজরদারির দিকে আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে।’’