প্রতীকী ছবি।
পদযাত্রায় সাড়া মিলেছে ভালই। তাতে উৎসাহিত হয়ে সম্মেলনের মরসুমেও একগুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নিল সিপিএম। তাদের লক্ষ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের কর্মী বাহিনীকে রাস্তায় রেখে চাঙ্গা করা।
মোট ১১৭টি গণসংগঠনের যৌথ মঞ্চ বিপিএমও-র উদ্যোগে ২২ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত পদযাত্রা কর্মসূচির পর্যালোচনা হয়েছে শনি ও রবিবার সিপিএমের দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে। বহু গ্রামে এখনও পর্যন্ত বুথ স্তরে পৌঁছতে না পারা এবং বুথ কমিটি গড়তে ব্যর্থতার কথা বৈঠকে স্বীকার করে নিয়েছেন কিছু জেলার প্রতিনিধিরা। কিন্তু একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে কৃষক জাঠা এবং ২০১৬-য় বিধানসভা ভোটের আগে সিঙ্গুর থেকে শালবনি পদযাত্রার চেয়ে এ বারের বিপিএমও পদযাত্রা আরও বেশি এলাকায় ঢুকতে পেরেছে। আরও একটু সময় পেলে তৃণমূল স্তরে তাঁরা আরও ভাল মিছিল করতে পারতেন বলেও জানিয়েছেন কেউ কেউ। পর্যালোচনার পরেই গোটা নভেম্বর জুড়ে কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম।
স্বাস্থ্যভবনে আজ, সোমবারই বিক্ষোভ হবে বামফ্রন্টের। পর দিন নভেম্বর বিপ্লবের শতবর্ষে সভা এবং বুধবার নোটবন্দির বর্ষপূর্তিতে কালাদিবস। রাজ্য কমিটিতে আরও ঠিক হয়েছে, ২৩ নভেম্বর রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে হবে উদ্বাস্তু সমাবেশ। যুব সংগঠনের সমাবেশ ২৬শে। আদিবাসী সংগঠনের উদ্যোগে কর্মসূচি হবে ২৮শে। প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্যোগে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে যে সমাবেশ হয়, তাতেও দল হিসাবে সামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। ওই সমাবেশ হবে ৪ ডিসেম্বর।
পুজোর পরে এ বার সিপিএমের সম্মেলনের সময়। শাখা স্তরের সম্মেলন দিয়ে শুরু হচ্ছে সেই পর্ব। আঞ্চলিক কমিটি স্তরে যখন সম্মেলন চলবে, তখন এ বার একই সঙ্গে বাইরের কর্মসূচিও চলবে। আগামী ৫-৬ ডিসেম্বর পরবর্তী রাজ্য কমিটির বৈঠকে ঠিক হবে রাজ্য সম্মেলনের নির্ঘণ্ট। রাজ্য কমিটির বৈঠকের পরে দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র রবিবার বলেছেন, নির্দিষ্ট কর্মসূচির বাইরেও তাৎক্ষণিক ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ হবে। আক্রমণ হলে গড়ে তুলতে হবে প্রতিরোধ।
মূল পদযাত্রা শেষ হয়ে গেলেও গ্রামে গ্রামে উপজাঠা চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সূর্যবাবু। কিন্তু আগের দু’বার ভাল পদযাত্রার পরেও ভোটে তেমন ফল পায়নি সিপিএম। এ বার কি তাঁরা আশাবাদী? সূর্যবাবু বলেন, ‘‘আগের চেয়ে এ বার পদযাত্রা আরও ব্যাপক হয়েছে। সেই ২০১১ সালের পর থেকে যেখানে আমরা মিটিং-মিছিল করতে পারিনি, সেখানেও পৌঁছনো গিয়েছে। যে সব গ্রামে যেতে পারিনি, সেই সব জায়গায় আমাদের দাবি নিয়ে পৌঁছনোর চেষ্টা চলবে।’’