শীলা দাস সরকার। —নিজস্ব চিত্র।
প্রশ্ন: নিজের কাজে সন্তুষ্ট?
উত্তর: এখন দফতরভিত্তিক কাজ বেশি হয়। ফলে, পাঁচ-দশ বছর আগের তুলনায় এখন জেলা পরিষদের বরাদ্দ কমেছে। এই ক’বছরে যে টাকা পেয়েছি, তার মধ্যে থেকেই কাজ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছু ক্ষেত্র আমাদের সাধ্যের বাইরে। তাই অভাব-অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কিছু কাজ করে উঠতে পারিনি।
প্রশ্ন: কোন কাজ করে উঠতে পারেননি?
উত্তর: সংকোশ-সহ বিভিন্ন নদীর ক্যানালের উপরে সেতু করার ইচ্ছে ছিল। বর্ষার সময় জেলার বেশ কিছু এলাকা ভুটান থেকে নেমে আসা জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই সমস্যা সমাধানে মাস্টার প্ল্যান হওয়া উচিত। বিভিন্ন সময় সরকারি বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রীদের সামনে সে কথা তুলে ধরেছি।
প্রশ্ন: জেলার গ্রামাঞ্চলে এখনও অনেক রাস্তা ভাঙাচোরা।
উত্তর: গ্রামাঞ্চলে বেশিরভাগ রাস্তাই হয়ে গিয়েছে। কোনও কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতে হয়তো একটা-দু’টো রাস্তা খারাপ। ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে সংস্কার হবে।
প্রশ্ন: উন্নয়নমূলক কাজের জন্য জেলা পরিষদ যে অর্থ পেয়েছে, তাতে কি আপনারা সন্তুষ্ট?
উত্তর: রাস্তাঘাট কিংবা কালভার্ট তৈরি ছাড়াও, জেলা পরিষদের আরও অনেক কাজ থাকে। যার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তাই জেলা পরিষদের আর্থিক বরাদ্দ আরও বাড়ানো উচিত।
প্রশ্ন: আবাস যোজনায় ঘর বণ্টন নিয়ে এই জেলাতেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
উত্তর: এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরাও তা দেখে সন্তুষ্ট।
প্রশ্ন: উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে ‘কাটমানি’ নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
উত্তর: আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে গত পাঁচ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি বলে হলফ করে বলতে পারি।
প্রশ্ন: আর নিয়োগ-দুর্নীতি? পঞ্চায়েত ভোটে তা প্রভাব ফেলবে না?
উত্তর: এটা বিচারাধীন বিষয়। তাই এ নিয়ে মন্তব্য করব না। তা ছাড়া, আলিপুরদুয়ারে এ ধরনের দুর্নীতির খবর পাইনি।
প্রশ্ন: ‘দিদির দূত’ হিসাবে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে আপনাদের দলের অনেককেই বাসিন্দাদের নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। কেন?
উত্তর: মানুষের সমস্যা জানতেই গ্রামে গিয়েছি। মানুষ তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা বলেছেন। প্রশ্নের মুখে পড়ার কোনও ব্যাপার নেই।
প্রশ্ন: গত পাঁচ বছরে সভাধিপতির দায়িত্ব সামলাতে দলের কতটা সহযোগিতা পেয়েছেন?
উত্তর: দল কিংবা নেতৃত্ব সব সময়ই আমায় সহযোগিতা করেছেন।
প্রশ্ন: তা হলে এ বছর আর ভোটে দাঁড়াতে চাইছেন না কেন?
উত্তর: পারিবারিক কারণেই এ বছর ভোটে দাঁড়াতে চাইছি না। দলকে জানিয়েছি। তবে দলের কাজ করে যাব।
সাক্ষাৎকার: পার্থ চক্রবর্তী