আপাতত অবরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন কুড়মিরা। —নিজস্ব চিত্র।
পাঁচ দিন পর পুরুলিয়ার কুস্তাউরে উঠল কুড়মিদের অবরোধ। নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে কুড়মি নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো জানান, তাঁরা আপাতত বন্ধ প্রত্যাহার করছেন। তবে আগামিদিনে আবার আন্দোলন চলবে বলে জানান অজিতপ্রসাদ। অন্য দিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে এখনও অবরোধ চলছে। সেখানকার নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, তাঁরা এ নিয়ে আলোচনা করছেন এবং তাঁদের কাছে এখনও কোনও নির্দেশিকা আসেনি।
একগুচ্ছ দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে কুড়মি সমাজ। পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের রাজ্য নেতা রাজেশ মাহাতো রবিবার বলেন, ‘‘মানুষের সমস্যা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু কুড়মি সমাজের যে দাবি, সেটা তো পূরণ হচ্ছে না। প্রশাসনের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আন্দোলন স্তব্ধ হবে না। প্রয়োজনে আরও অন্যান্য জায়গায় অবরোধ শুরু হবে।’’ এর পরেই অবশ্য পুরুলিয়া থেকে আন্দোলন প্রত্যাহারের খবর পাওয়া যায়। তবে কিছু দিনের জন্য ‘বিশ্রাম’ নিয়ে আবারও পথে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কুড়মি সমাজের নেতারা। অন্য দিকে রেলের আধিকারিকরা খেমাশুলি যাচ্ছেন। আজকেই ওই লাইনে ট্রেন চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, রবিবার কুড়মিদের রেল অবরোধ পঞ্চম দিনে পড়েছে। শ্যামাচুলির কাছে জাতীয় সড়ক অবরোধ ষষ্ঠ দিনে পড়েছে। রেল অবরোধ প্রায় ৯০ ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়েছে। অন্য দিকে জাতীয় সড়ক ১০০ ঘন্টারও বেশি অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। অবরোধের জেরে দূরপাল্লার ট্রেন ও লোকাল ট্রেন বাতিল করে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে। পাশাপাশি পণ্যবাহী ট্রেনগুলোও চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খেমাশুলির রেল স্টেশন এবং সেই সংলগ্ন জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধের জেরে সমস্যায় পড়ছেন মানুষজনেরা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে রেল এবং জেলা প্রশাসন।