ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাচ্ছেন রাজ্যপাল। — ফাইল চিত্র।
শনিবার ১২ দিনের বিদেশ সফর সেরে কলকাতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মঙ্গলবারই বিদেশ সফরে উড়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের পক্ষে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও ঘোষণা এখনও পর্যন্ত করা হয়নি। তবে যা জানা গিয়েছে ১২ দিনের সফরে তিনি আমেরিকা রওনা হবেন মঙ্গলবার। তাঁর সঙ্গে দেশের আরও কয়েকজন রাজ্যপাল থাকতে পারেন বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, বোস যে বিদেশ সফরে যাচ্ছেন তা অনেক আগেই জেনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। স্পেন সফরের মধ্যেই তিনি জানতে পেরেছিলেন বিদেশে যাওয়ার জন্য বোসের কাছে রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুমোদন এসে গিয়েছে। কোনও রাজ্যপালকে বিদেশে যেতে হলে যে অনুমোদন নিতেই হয়।
১২ সেপ্টেম্বর বিদেশে যান মমতা। দুবাই হয়ে স্পেনে পৌঁছন। ফেরার পথে আবার দুবাইতে দু’টি দিন কাটান। দুই দেশেই শিল্পপতিদের সঙ্গে এবং অনাবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বাংলায় বিনিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা সেরে শনিবার কলকাতায় ফেরেন মমতা। এর পরে রাজ্যপাল বোস রবিবার একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মমতাকে। বোস বা মমতা চিঠির বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন রাজ্যপাল।
রাজভবন বোসের বিদেশ সফর নিয়ে কোনও কিছু ঘোষণা না করলেও একটি বিষয় জানা গিয়েছে যে সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি আমেরিকায় একটি সাহিত্য সম্মেলনেও অংশ নিতে পারেন বোস। আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হওয়ার কথা। আমেরিকার একাধিক শহরে তাঁর কর্মসূচি রয়েছে। সে সব মিটিয়ে ৭ অক্টোবর কলকাতায় ফেরার কথা বোসের।
তবে বিদেশ সফরের আগেও নবান্নের সঙ্গে সংঘাতের আবহ রয়েই গেল। রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা করেননি বলেই অভিযোগ নবান্নের। তা নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। রবিবার ছুটির দিনেও তিনি রাজ্যের সব উপাচার্যকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন। সেখানে সকলকে উপস্থিত থাকতে আগেই নির্দেশ পাঠিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, সম্প্রতি ধূপগুড়ি উপবনির্বাচনে জয়ী তৃণমূলের নির্মলচন্দ্র রায় এখনও বিধায়ক হিসাবে শপথ নিতে পারেননি। তা নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। নির্মলচন্দ্রকে শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য রাজভবনের তরফে প্রস্তুতি নেওয়া হলেও তা শেষ পর্যন্ত হয়নি। পরিষদীয় দফতরের অভিযোগ ছিল, রাজ্যকে এড়িয়ে একক ভাবে বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করানোর আয়োজন করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু পরিষদীয় দফতর সায় না দেওয়ায় সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি রাজভবনের তরফে। হাতে আর সময় নেই। তবে কি রাজ্যপালের বিদেশ সফরের পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিধায়ক হতে পারবেন ধূপগুড়ির নির্মলচন্দ্র!