কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্তের কথা কেন তাঁকে জানানো হল না তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে জবাব চাইলেন রাজ্যপাল। ফাইল চিত্র।
মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল বুধবার রাতেই। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত তার জবাব না মেলায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে জবাব চাইলেন রাজ্যপাল। কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্তের কথা কেন তাঁকে জানানো হল না? জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে যে তিনি জবাব চেয়েছেন, সে কথা টুইটারেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে ২৮ নাগাদ টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বাংলা এবং ইংরেজি, দুই ভাষাতেই টুইট করেছেন তিনি। রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে, মুখ্যসচিবের কাছ থেকে কোনও সাড়া না পাওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি জানতে চেয়েছেন ৬ মে তারিখে জারি হওয়া সরকারি নির্দেশের বিষয়ে। রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘‘অনুচ্ছেদ ১৬৭ মোতাবেক মুখ্যমন্ত্রীর ‘কর্তব্য’ রাজ্যপালকে তথ্য সরবরাহ করা। এই অর্ডারটির গভীর তাৎপর্য আছে।’’
আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে কলকাতা পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ। তাই আগামী কাল অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই দায়িত্ব গ্রহণ করবে প্রশাসক বোর্ড। বুধবারই সরকারি নির্দেশনামার মাধ্যমে এই প্রশাসক বোর্ড গড়ে দেওয়া হয়। বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেই বোর্ডের মাথায় বসানো হয়। আর বিদায়ী মেয়র পারিষদদের করা হয় বোর্ডের সদস্য।
আরও পড়ুন: করোনা রোগীদের পাশেই সাত-আটটি মৃতদেহ, মুম্বইয়ের হাসপাতালের ছবি নিয়ে তোলপাড়
এই বোর্ড গঠন করার সিদ্ধান্ত কী ভাবে নেওয়া হল, সিদ্ধান্তটা কে নিলেন, সিদ্ধান্তের কথা রাজ্যপালকে কেন জানানো হল না— এ সব জানতে চেয়ে বুধবার রাতেই রাজভবন চিঠি পাঠিয়েছিল রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহকে। কিন্তু সে চিঠির কোনও জবাব মেলেনি বলে রাজ্যপাল নিজেই এ দিন জানিয়েছেন টুইটারে।
আরও পড়ুন: অ্যাকাউন্ট ফাঁক, জামতাড়া মডেলে প্রতারণা চক্রের ঘাঁটি এ বার বাংলাতেও!
সংবিধানের ১৬৭ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে তিনি জবাব চেয়েছেন বলে রাজ্যপাল জানিয়েছেন। সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়ে রাজ্যপালকে অবহিত করা মুখ্যমন্ত্রীর কর্তব্য। সে কথা এ দিন মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর টুইটটি আক্রমণাত্মক নয়। তবে তাতে উষ্মার আঁচ স্পষ্ট। কলকাতা পুরসভার মাথার উপরে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাঁকে জানানো না হওয়ায় তিনি যে অসন্তুষ্ট, সে কথা রাজ্যপাল স্পষ্ট ভাবেই বোঝানোর চেষ্টা করেছেন টুইটে। মুখ্যসচিবের কাছ থেকে কোনও সাড়া না পেয়েই তিনি ১৬৭ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করতে বাধ্য হলেন, বার্তা ধনখড়ের।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানা ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের সঙ্গে। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা, তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি প্রকাশযোগ্য বলে বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)