মৌমাছি পালনে সহজ শর্তে মিলতে পারে ঋণ

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অভিযোগ, মৌমাছি পালকদের এখন চড়া সুদে ঋণ নিতে হয়, কিন্তু মধু বেচতে গেলে তাঁরা ঠিকঠাক দাম পান না।

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৩৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

টাকা দেন মহাজনেরা। কিন্তু সুদের হার বড্ড চড়া। সেই মহাজনদের খপ্পর থেকে মৌমাছি পালকদের বাঁচাতে একটি বিশেষ আর্থিক প্রকল্প চালু করতে চাইছে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়করণ ও উদ্যান দফতর। রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে মৌমাছি পালকদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া যায় কি না, সেই ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছেন দফতরের কর্তারা। আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে আলোচনা চলছে নাবার্ডের সঙ্গেও। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Advertisement

অভিযোগ, মৌমাছি পালকদের এখন চড়া সুদে ঋণ নিতে হয়, কিন্তু মধু বেচতে গেলে তাঁরা ঠিকঠাক দাম পান না। অথচ রাজ্যের সেই মধুই দেশের বাজারে এবং বিদেশে অনেক চড়া দামে বিক্রি হয়। সেই জন্য সমবায় ব্যবস্থার মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ন্যায্য দামে কী ভাবে মধু বিক্রির ব্যবস্থা করা যায়, সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে প্রশাসন।

দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই সব থেকে বেশি কাঁচা মধু উৎপাদন হয়। মৌমাছি পালকেরা তাঁদের পোষা মৌমাছি নিয়ে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে বছরে গড়ে অন্তত ১৬ হাজার টন মধু সংগ্রহ করেন। পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থা এসে বাংলার মধু কিনে নিয়ে যায়। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, নদিয়া, মালদহ ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনায় কয়েক হাজার মৌমাছি পালক রয়েছেন। কাঁচা মধু প্রক্রিয়াকরণের পাশাপাশি তার ব্র্যান্ডিং, বিপণন প্রভৃতির জন্য উদ্যান দফতর বারাসতের কাছে দেগঙ্গায় একটি মধু বিক্রয় কেন্দ্র গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মৌমাছি পালকদের সহজে ঋণ দান এবং ন্যায্য দামে মধু বিক্রির ব্যবস্থা করতে পারলে রাজ্যের মধু শিল্পের লাভ হবে বলেই আশা করছেন উদ্যান দফতরের কর্তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement