Sandeshkhali Incident

সন্দেশখালির চারটি এলাকা থেকে উঠল ১৪৪ ধারা, রইল বাকি ১৫, শিবুর আট দিনের পুলিশি হেফাজত

এলাকাভিত্তিক পর্যালোচনা করে সন্দেশখালি থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের ভাবনাচিন্তা রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ডিজি রাজীব কুমার। তার পরেই রবিবার সন্দেশখালির চারটি এলাকা থেকে ১৪৪ ধারা উঠল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

সন্দেশখালি শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:২৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

এলাকাভিত্তিক পর্যালোচনা করে সন্দেশখালি থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের ভাবনাচিন্তা রয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তার পরেই রবিবার সন্দেশখালির চারটি এলাকা থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। অন্য দিকে, সন্দেশখালিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরাকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট মহকুমা আদালত।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার বসিরহাট মহকুমা সন্দেশখালির মোট ২০টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। তার মধ্যে দাউদপুর, আতাপুর, কুলেপাড়া ও গোপালের ঘাট এলাকা থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হল। রবিবার বিকেল ৪টে থেকে ওই চার এলাকায় ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে না। বাকি ২০টি জায়গা থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হবে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি।

সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা কবের মধ্যে উঠতে পারে, তা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের পরিকল্পনার কথা শনিবার জানিয়েছিলেন রাজীব। গত সপ্তাহে দফায় দফায় হিংসার ঘটনার পর গোটা সন্দেশখালি জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল পুলিশ। তা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলাও হয়। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে এলাকাভিত্তিক ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তার পরেই সেই ১৪৪ ধারার কারণ দেখিয়ে তাঁদের এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। বিষয়টিতে হাই কোর্টেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ডিজি জানান, এলাকাভিত্তিক পর্যালোচনা করেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাঁর কথায়, ‘‘এলাকাভিত্তিক রিভিউ করা হবে। আমরা চাইছি স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসুক। তাই যে সব এলাকায় ১৪৪-এর দরকার নেই, সেই সব জায়গায় এক-দু’দিনের মধ্যে ১৪৪ ধারা তোলার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’ এর পর রবিবার থেকেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হল বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

কেন এখনও ১৪৪ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে, তারও ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ডিজি বলেন, ‘‘কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক রং দেওয়ার চেষ্টা করছিল। বিভিন্ন লোক আইন ভাঙার চেষ্টা করছিল। তাই বাধ্য হয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement