সরকারিভাবে পুর-প্রশাসকের দায়িত্ব নিলেন আদিত্য নিয়োগী। নিজস্ব চিত্র।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে হুগলির বাঁশবেড়িয়া পুরসভার দায়িত্ব বুঝে নিলেন আদিত্য নিয়োগী। দায়িত্ব নিয়েই আদিত্য বলেন, তাঁর প্রথম কাজ হবে পুরসভা থেকে দুর্নীতি বন্ধ করা। অন্য দিকে, তাঁর উপর হামলায় অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার হুইলচেয়ারে করে পুরসভায় যান আদিত্য। পুর-প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পরে তিনি বলেন, ‘‘বাঁশবেড়িয়া পুরসভার প্রশাসনকে ভাঙিয়ে অনেক অন্যায় ও দুর্নীতি হয়েছে। আমরা শপথ নিচ্ছি, আর কোনও গরিব মানুষের চোখের জল ফেলতে দেব না। যে সব পরিষেবা থেকে মানুষ বঞ্চিত, সেই পরিষেবা চালু করা হবে আমার প্রথম কাজ। বাঁশবেড়িয়া পুরসভায় দুর্নীতির কথা দলকে বহু বার জানিয়েছি। দল দেরিতে হলেও বুঝেছে দেখে ভাল লাগছে।’’
গত ১১ই মে বাঁশবেড়িয়ার প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা আদিত্যকে বেলতলা বাজারে গুলি করে খুন করার চেষ্টা হয়। আদিত্যর পিঠে গুলি লাগে। তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। প্রাণে বেঁচে যান তৃণমূল নেতা।
এই ঘটনায় বাঁশবেড়িয়া পুরসভার তৎকালীন পুর-প্রশাসক অরিজিতা শীলের স্বামী তৃণমূল নেতা সত্যরঞ্জন শীল ওরফে সোনার নাম উঠে আসে। ঘটনার পর সোনার ২টি বাড়িতে ভাঙচুর চালান আদিত্যর সমর্থকরা। এই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন সোনা। ১৬ মে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ সোনা, তাঁর দেহরক্ষী সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে ভোলা-সহ আরও ২ জনকে গ্রেফতার করে। ৪ জনকেই বুধবার চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
এ দিকে আদিত্যর উপরে হামলার পরদিনই অরিজিতাকে সরিয়ে আদিত্যকে পুর প্রশাসক পদে বসানো হয়। বুধবার সরকারি ভাবে সেই দায়িত্ব নিলেন আদিত্য।