রাস্তায় ‘দেশদ্রোহী’দের ঐক্য চাইলেন অধীর

লোকসভায় দলনেতা নির্বাচিত হওয়া উপলক্ষে অধীরবাবুকে বিধানসভায় সংবর্ধনা দিল কংগ্রেস পরিষদীয় দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:২৩
Share:

বিধানসভায় অধীর চৌধুরীকে সংবর্ধনা। নিজস্ব চিত্র

লড়াই চলছে প্রবল প্রতাপশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে। যারা ‘বাহুবলী জাতীয়তাবাদে’র কড়া ডোজ সকলকে খাওয়াচ্ছে, বিরোধীদের সম্পর্কে জনমানসে ধারণাও তারা নির্মাণ করে দিচ্ছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ‘দেশদ্রোহী’ তকমা গায়ে লাগার ঝুঁকি নিয়েই একসঙ্গে রাস্তায় নেমে লড়াই করার জন্য কংগ্রেস ও বামেদের কাছে আহ্বান জানালেন লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর সঙ্গেই সুর মেলালেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।

Advertisement

লোকসভায় দলনেতা নির্বাচিত হওয়া উপলক্ষে অধীরবাবুকে বিধানসভায় সংবর্ধনা দিল কংগ্রেস পরিষদীয় দল। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের আমন্ত্রণে নৌসর আলি কক্ষে বুধবারের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ও রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। ছিলেন কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের বিধায়কেরা। বিধানসভায় মান্নান-সুজনেরা এখন হাত মিলিয়েই চলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে অধীরবাবু বলেন, ‘‘বিধানসভায় দু’পক্ষের জনপ্রতিনিধিরা যৌথ ভাবে সরব হচ্ছেন। কিন্তু বিধানসভা চলে কয়েক দিন। বাকি সময়টা রাস্তায়, গলিতে, মাঠে-ময়দানে একসঙ্গে কর্মসূচি নিয়ে নামতে হবে। প্রতীকী কিছু করার দিন চলে গিয়েছে!’’ অধীরবাবুর অভিযোগ, এখন কেউ যুক্তিবাদী বা উদারপন্থী রাজনৈতিক অবস্থান নিলেই তাকে ‘দেশদ্রোহী’’ বলে চিহ্নিত করছে সঙ্ঘ-বিজেপি। সেই আক্রমণ মোকাবিলা করেই বাম-কংগ্রেসকে একত্রে এগোতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বহরমপুরের সাংসদ।

সুজনবাবু বলেন, ‘‘বিজেপির সরকার সংবিধানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে, অর্থনীতির সর্বনাশ করছে। এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সংসদে অধীর লড়ছেন। এ রাজ্যে বিজেপির পাশাপাশি তাদের বেড়ে ওঠার পিছনে যাদের মদত ছিল, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা একজোট হয়ে লড়াই করছি। সর্বশক্তি দিয়েই আমরা লড়ব।’’ বিরোধী দলনেতা মান্নানও জানিয়েছেন, বিধানসভায় বামেদের সঙ্গে নিয়েই জনগণের অভাব-অভিযোগ তুলে ধরার কাজ চালিয়ে যাবেন।

Advertisement

অধীর চৌধুরীকে সংবর্ধনা কংগ্রেস পরিষদীয় দলের। বিধানসভার নৌশদ আলি কক্ষে। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেনবাবু মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘অধীরকে যখন ১৯৯৬ সালে প্রথম বার বিধানসভার টিকিট দিয়েছিলাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুর ট্রেজারির সামনে কালো চাদর পেঁচিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। এখন আনন্দ ও গর্ব হচ্ছে ভেবে যে, সে দিন ভুল করিনি!’’ অধীরবাবুও বলেন, ‘‘সোমেন মিত্র চেষ্টা না করলে বিধায়ক হওয়ারও সুযোগ পেতাম না। এখন যা দায়িত্ব পেয়েছি, তা পালন করতে সকলের কাছে পরামর্শ, সহযোগিতা ও তথ্য চাই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement