ভোট বড় বালাই !
তাঁদের দু’জনকে সম্প্রতি কেউ এক মঞ্চে দেখেননি। বিধান ভবনে ১ জুলাই বিধান রায়ের জন্ম-মৃত্যুদিনের অনুষ্ঠানে মানস ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু অধীর চৌধুরী যাননি সেখানে। আবার সেই বিধান ভবনেই অধীরের দেওয়া ইফতার পার্টিতে অনুপস্থিত ছিলেন মানসবাবু। তবে শনিবারটা ছিল অন্য রকম। কংগ্রেসের সংখ্যালঘু শাখার অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে এই দুই নেতাই এক সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করলেন সেই বিধান ভবনেই ! আগামী বিধানসভা ভোটে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরের সংখ্যালঘু ভোটই কংগ্রেসের ভরসা। তাই দুই নেতাই দীর্ঘ তিক্ততা ভুলে এক সঙ্গে বসলেন। সঙ্গে ছিলেন সোমেন মিত্র, প্রদীপ ভট্টাচার্যও।
বাম জমানা থেকেই এ রাজ্যের সংখ্যালঘুরা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত, এই অভিযোগ তুলে বারবারই সরব হয়েছে কংগ্রেস। এ বার ভোট ময়দানে ঝাঁপাতে কংগ্রেসের বার্তা— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারও ব্যতিক্রম নয়। সংখ্যালঘু উন্নয়নে তাদের প্রতিশ্রুতিই সার। বাস্তবে তারাও সংখ্যালঘুদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। কংগ্রেসের সংখ্যালঘু শাখা মুসলিমদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে মমতাকে আক্রমণ করতে আগামী ১৯ অগস্ট সম্মেলন করছে নেতাজি ইন্ডোরে। এ দিনের বৈঠক ছিল তারই জন্য। এ সব দেখে উজ্জীবিত দলের কর্মীরা।
এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে অধীর যে দলে ঐকমত্য চান, বৈঠকে তাঁর বার্তাতেই স্পষ্ট। সংখ্যালঘু শাখার সব জেলার প্রধানদের প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রচারে সামিল হওয়ার অনুরোধ করেছেন অধীর। তিনি বৈঠকে জানিয়েছেন, প্রদেশ নেতারাও সমাবেশের আগে জেলায় জেলায় প্রচারে যাবেন।
দলের সংখ্যালঘু শাখার বৈঠকের পাশাপাশি এ দিন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার সভাপতিদের নিয়ে আলাদা বৈঠক করেন অধীর। ওই বৈঠকে জেলার সভাপতিদের ডাকলেও বিধান ভবনে উপস্থিত মানস-সোমেন-প্রদীপরা কিন্তু ডাক পাননি। অক্টোবরে বিধাননগর-সহ ছ’টি পুরসভার ভোট। তার প্রার্থী নির্বাচন এবং প্রচারে জেলা সভাপতিদের সক্রিয়তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন অধীর।