বিধান ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র
আগামী ডিসেম্বর মাসে রাজ্যের তিন পুরসভা এলাকায় ভোট। সেই ভোটে কী আদৌ বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের মধ্যে জোট সম্ভব? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। শনিবার প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে বিজয়া সম্মেলনীর পাশাপাশি, জেলা কংগ্রেসের সভাপতি-সহ গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেখানে যেমন রাজ্য সংগঠন নিয়ে আলোচনা হয়, তেমনই আলোচনা হয় বামফ্রন্টের সঙ্গে জোটের পথ চলা নিয়েও। সূত্রের খবর, এই বৈঠকেই অধীর নির্দেশ দেন পুরভোটে স্থানীয় নেতৃত্বেই ঠিক করবে বামদের সঙ্গে জোট হবে কি না।
পরে সাংবাদিক বৈঠকেও তিনি বলেন, ‘‘পুরভোট সংক্রান্ত বিষয়ে জোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন স্থানীয় নেতৃত্বই।’’ ২০১৬ সালের পর ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটেও বামেদের সঙ্গে জোট করে লড়াই করেছিল কংগ্রেস। মাঝে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে সেই জোট ভেঙে যায়। বিধানসভা ভোটের পর ভবানীপুর-সহ শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে ভোট হয়েছে। ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কংগ্রেস সভাপতি প্রার্থী দিতে না চাওয়ায় প্রার্থী দেয় সিপিএম। আবার শমসেরগঞ্জে বামেদের সঙ্গে প্রার্থী ছিল কংগ্রেসেরও। অন্য দিকে, শনিবারের উপনির্বাচনে শান্তিপুর বাদ দিয়ে সব আসনে বামেদের সমর্থন করেছে কংগ্রেস। এমতাবস্থায় বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে কোনও স্পষ্ট ছবি উঠে আসেনি। আর শনিবারের বৈঠকে পুরভোটে জোটের দায় স্থানীয় নেতৃত্বের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন অধীর। এখন বামেদের অবস্থান ঘোষণার পালা।
অন্য দিকে, এআইসিসি-র নির্দেশে শনিবারের বৈঠকে জেলা নেতাদের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নামতে বলেছেন অধীর। সোমবার বিধান ভবন থেকে এই কর্মসূচির সূচনা করবেন তিনি। ১ নভেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালাবে কংগ্রেস। তার পরেই হবে সাংগঠনিক নির্বাচন।