সুভাষ-স্মরণ ব্যারাকপুরে, সেলিমের পাশে অধীরও

সুভাষবাবুর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর স্মরণ-মঞ্চে আনুষ্ঠানিক ভাবে বক্তা হিসেবে কংগ্রেসের কোনও পদাসীন নেতাকে আমন্ত্রণ দশ বছরে এই প্রথম। রাজ্যে বাম ও কংগ্রেস মিলে যৌথ আন্দোলনের মঞ্চ গড়ে তোলার যে প্রয়াস চলছে, তাতেই আরও একটি সংযোজন হতে চলেছে এই ঘটনা।

Advertisement

সন্দীপন চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯ ০৩:০৫
Share:

সংসদের পাবলিক অ্যাকউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান অধীর চৌধুরী।—ফাইল চিত্র।

লোকসভা ভোটের পর থেকে অশান্তিতে উত্তপ্ত ব্যারাকপুর মহকুমার ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া, জগদ্দল। সেই ব্যারাকপুরে দাঁড়িয়েই ‘অসহিষ্ণুতা’র বিরুদ্ধে একসঙ্গে বার্তা দিতে চাইছেন সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। যেখানে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমের পাশাপাশি অসহিষ্ণুতার বাতাবরণের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে আমন্ত্রিত কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা এবং সংসদের পাবলিক অ্যাকউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান অধীর চৌধুরী। উপলক্ষ বাম জমানার মন্ত্রী ও সিপিএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর স্মরণ অনুষ্ঠান।

Advertisement

সুভাষবাবুর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর স্মরণ-মঞ্চে আনুষ্ঠানিক ভাবে বক্তা হিসেবে কংগ্রেসের কোনও পদাসীন নেতাকে আমন্ত্রণ দশ বছরে এই প্রথম। রাজ্যে বাম ও কংগ্রেস মিলে যৌথ আন্দোলনের মঞ্চ গড়ে তোলার যে প্রয়াস চলছে, তাতেই আরও একটি সংযোজন হতে চলেছে এই ঘটনা। এবং তাতে আরও তাৎপর্য যোগ হয়েছে স্মরণ অনুষ্ঠানের জন্য ব্যারাকপুরকে বেছে নেওয়ায়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুরা সম্প্রতি দু’বার যৌথ ভাবে পথে নেমেছেন ব্যারাকপুর মহকুমায়। সেলিম, অধীরদের নিয়ে যৌথ মঞ্চ ফের প্রস্তুত হচ্ছে ব্যারাকপুরেই!

ক্যান্সারের আক্রমণে সুভাষবাবুর অকাল মৃত্যুর পর থেকে প্রতি বছরই ৩ অগস্ট তাঁর স্মরণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘সুভাষ চক্রবর্তী ফাউন্ডেশন’। লোকসভার প্রয়াত প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, বিধানসভার প্রয়াত প্রাক্তন স্পিকার হাসিম আব্দুল হালিমের মতো ব্যক্তিত্বেরাই ওই অনুষ্ঠানে যেতেন। থাকতেন সিপিএম নেতারাও। প্রাক্তন মেয়র বিকাশ ভট্টাচার্যের সঙ্গে কংগ্রেসের আইনজীবী নেতাদের কেউ কেউ বারকয়েক সুভাষ স্মরণের অনুষ্ঠানে গিয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেসের কোনও গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে আমন্ত্রণ এ বারই প্রথম। ব্যারাকপুরের সুকান্ত সদনে এ বার অধীর, সেলিম ছাড়া বিকাশবাবু এবং অভিনেতা বাদশা মৈত্রকে বক্তৃতা করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ছাত্র নেতা, এসএফআইয়ের ময়ূখ বিশ্বাসও আছেন তালিকায়।

Advertisement

সুভাষ স্মরণে এ বারের আলোচনার বিষয় ‘অসহিষ্ণুতার বর্বরতা আর কত দিন’? উদ্যোক্তাদের তরফে সুভাষ-জায়া রমলা চক্রবর্তীর বক্তব্য, অসহিষ্ণুতা ও মেরুকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সব শক্তি মিলেই প্রতিরোধ গড়তে হবে। তাই এমন উদ্যোগ। আর প্রথম দিকে এই অনুষ্ঠান হতো রবীন্দ্র সদনে। গত কয়েক বছর ওই বাৎসরিক অনুষ্ঠান হয়েছে দমদমে সুভাষবাবুর পুরনো পাড়ার কাছে। ব্যারাকপুর মহকুমা থেকে কিছু মানুষের অনুরোধ ছিল ওই অঞ্চলে অনুষ্ঠান করার। ভাটপাড়া-কাণ্ডে ‘অশান্ত’ তকমা পাওয়া ব্যারাকপুরে তাই অনুষ্ঠান সরিয়ে আনা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement