ইন্ডোরের দলীয় সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিছনে প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
পুরভোটের মুখে তৃণমূলের নতুন জনসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার নেতাজি ইন্ডোরে সোমবার সেই অনুষ্ঠানে দেখা গেল না অধিকারী পরিবারের কাউকে। মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী এবং কাঁথির পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারীর এই অনুপস্থিতি নজরে পড়েছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেরই। নেতাজি ইন্ডোরের অনুষ্ঠানের আগে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে তৃণমূল বিধায়কদের বৈঠকেও ছিলেন না শুভেন্দু।
কাঁথির সাংসদ তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশিরবাবু ও তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছেন। আর সৌমেন্দু সকাল থেকে কাঁথি পুরভবনেই ছিলেন। তবে শুভেন্দু জেলায় ছিলেন না বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর। তমলুকের নিমতৌড়িতে প্রয়াত বিপ্লবী সুশীল ধাড়ার জন্মদিবস উদ্যাপনের উদ্বোধনেও এ দিন আসেননি শুভেন্দু। দিল্লি থেকে শিশিরবাবু বলেন, ‘‘আমি ও দিব্যেন্দু সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে আজই ভোরে বেরিয়ে দিল্লি চলে এসেছি। শুভেন্দু গত কাল মুর্শিদাবাদে সভা করেছেন। আজও মুর্শিদাবাদে সভা করে মালদহে যাবেন। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেবেন। দলনেত্রী সব জানেন।’’ যদিও মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, রবিবার দলীয় কর্মসূচিতে শুভেন্দু হাজির থাকলেও এ দিন তাঁর কোনও কর্মসূচি ছিল না।
কিন্তু পুরভোটের মুখে নতুন জনসংযোগ কর্মসূচির ঘোষণায় কেন ছিলেন না কাঁথির পুরপ্রধান? সৌমেন্দুর বক্তব্য, ‘‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে দলনেত্রীর কর্মসূচিতে যেতে পারিনি। এ ব্যাপারে উচ্চ নেতৃত্বকে আগে জানিয়ে দিয়েছিলাম।’’