Bus

বাস-যন্ত্রণার সঙ্গেই বাড়তি ভাড়ার জ্বালা

ধর্মতলা থেকে মেদিনীপুরগামী বেসরকারি বাসের একাধিক রুটে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ ভাড়া আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২১ ০৭:৪০
Share:

বাস অমিল। অগত্যা ভরসা পণ্যবাহী গাড়ি। শুক্রবার হাওড়ায়। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

করোনা বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পরে, শুক্রবার বাস পরিষেবার দ্বিতীয় দিনেও যাত্রীদের ভোগান্তি অব্যাহত। কাজের দিনে তুলনামূলক ভাবে অল্প দূরত্বের বহু রুটে সমস্যা হয় যাত্রীদের। জেলায় দূরপাল্লার রুটে সরকারি বাস আশানুরূপ পরিষেবা দিলেও জেলা বা মহকুমা শহরের সঙ্গে সংযোগকারী অধিকাংশ ছোট রুটেই এ দিন বাস পরিষেবা বন্ধ ছিল। ধর্মতলা থেকে মেদিনীপুরগামী বেসরকারি বাসের একাধিক রুটে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ ভাড়া আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ব্যারাকপুর-সলপ রুটের বাসে ভুয়ো ভাড়ার তালিকা দেখিয়ে চড়া ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম এ দিন ভিড় অনুযায়ী দূরের বাস চালিয়েছে। নিগমের আধিকারিকদের অভিযোগ, বিভিন্ন জেলা শহরের সঙ্গে সংযোগকারী স্থানীয় রুটে বেসরকারি বাস না-চলায় নির্দিষ্ট কিছু রুট ছাড়া দূরপাল্লার বাসে যাত্রীর ভিড় এখনও মোটের উপরে কম। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের অধীন এসপ্লানেড গুমটি থেকে মেদিনীপুর, দিঘা, কাঁথি, আসানসোল, দুর্গাপুর, সিউড়ি, বর্ধমানগামী বাসের টিকিটের চাহিদা রয়েছে। ওই সব রুটে প্রয়োজন অনুযায়ী বাসের জোগান দেওয়া হচ্ছে। তবে ডিজেলের অগ্নিমূল্যের জন্য আগের মতো ১০ বা ১৫ মিনিট অন্তর বাস চালানো সম্ভব হচ্ছে না। করোনা বিধি মেনেই বাসের সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমে। কর্তারা জানান, তিনটি সরকারি পরিবহণ নিগম মিলিয়ে প্রায় ১১০০ দূরপাল্লার বাস নামছে। সোমবার থেকে সংখ্যাটা আরও বাড়ানো হতে পারে।

এ দিন কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে বেসরকারি বাস চলেনি। স্থানীয়, আন্তর্জেলা ও দূরপাল্লার সরকারি বাসে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচলের বিধি অনেক ক্ষেত্রেই মানা হয়নি বলে অভিযোগ। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ জেলা, শিলিগুড়িতে কিছু বেসরকারি বাস চললেও সেগুলিতে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়েছে এবং যাত্রীদের ‘অনুরোধ করে’ বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। একই ধরনের অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদেও।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, মেদিনীপুরের তিন জেলা, দুই বর্ধমানের পথে সে-ভাবে বাসের দেখা মেলেনি। বেসরকারি বাস চলেনি বাঁকুড়ায়। যে-সব রুটে সরকারি বাস চলে না, সেখানে চুটিয়ে ব্যবসা করেছে কিছু ছোট গাড়ি। তবে উত্তর ২৪ পরগনার বেশির ভাগ রুটেই বাস চলেছে। নদিয়া, হুগলির আরামবাগ মহকুমায় বেসরকারি বাস বেড়েছে। হাওড়া জেলায় বাসমালিকেরা সোমবার থেকে বাস চালানোর কথা বলেছেন। তবে এ দিনেও বাগনান-ধর্মতলা, বাগনান-শ্যামবাজার রুটের কয়েকটি বাস চলাচল করে। জেলা বাসমালিক সংগঠনের সভাপতি অসিত পণ্ডিত বলেন, ‘‘বাগনান স্ট্যান্ডটি রেল স্টেশনের লাগোয়া। তাই যাত্রী অনেক। যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে কিছু বাস চালানো হয়।’’

পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে কলকাতা ও হাওড়ামুখী বাসের সংখ্যা বেড়েছে। ‘ঝাড়গ্রাম প্রোগ্রেসিভ বাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক শশধর পৈড়ার প্রস্তাব, ‘‘নির্বাচনের সময় যে-ভাবে বাস নেওয়া হয়, প্রশাসন সেই ভাবে বাস নিক।’’ বাস চলাচল স্বাভাবিক করা এবং পরিবহণ শ্রমিকদের বকেয়া মেটানোর দাবিতে আসানসোলে এ দিন মিছিল ও সভা করে সিটু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement