সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
দূরে ঘন সবুজ জঙ্গল। সেই সবুজকে সামনে রেখে ঘন হয়ে বসে আছেন যুগল। তাঁদের পিছনে, খানিকটা উপরে এক পাটি নীল-সাদা হাওয়াই চপ্পল তাক করে বসে এক যুবক। চটি তাক করা যুগলের দিকে। ছবির উপরে লেখা, ‘‘১৪ ফেব্রুয়ারি আমার পরিকল্পনা।’’ এমনিই একটি ছবি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সায়ন্তিকা এখন যতটা অভিনেত্রী, তার চেয়েও বেশি তিনি তৃণমূলের নেত্রী। বুধবার দুপুরে এই ছবি তিনি যখন এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেন তখনও বাঁকুড়ায় দলের কাজেই ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু এই ছবি পোস্ট করে কী বোঝাতে চেয়েছেন সায়ন্তিকা? আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমি তো সিঙ্গল। অন্য যুগলদের দেখে আমার হিংসে হবে, গা জ্বলে যাবে। তাই মজা করেই পোস্ট করেছি।’’
কিন্তু যে হেতু সায়ন্তিকা এখন তৃণমূলের নেত্রী, তাই তাঁর পোস্টে নীল-সাদা রঙের হাওয়াই চটি অনেকেরই নজর এড়ায়নি। নানা জনে নানা মানে করতে থাকেন। কারণ হাওয়াই চটি এবং নীল-সাদা রঙ রাজ্য রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বলা ভাল তৃণমূলের সঙ্গে। যদিও আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে বিস্ময় প্রকাশ করে সায়ন্তিকা বলেছেন, ‘‘এটার যে এই রকম দৃষ্টিকোণ হতে পারে সেটা আমার ধারণার মধ্যেই ছিল না।’’ সায়ন্তিকা এ-ও জানিয়েছেন, একটা সময়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডে নিয়ে উৎসাহ ছিল। কিন্তু এখন আর সে সব নেই। ছবির কাজ, দলের কাজ করতেই তাঁর সময় চলে যায়। তাঁর কথায়, ‘‘ভাবলে রোজই ভ্যালেন্টাইন্স ডে, না ভাবলে কোনও দিনই নয়।’’
গত বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়ায় তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সায়ন্তিকা। কিন্তু বিজেপির কাছে তাঁকে পরাস্ত হতে হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও মাটি কামড়ে রাজনীতি করে যাচ্ছেন। বাঁকুড়াতেই বেশি সময় দেন তিনি। তাঁকে লোকসভায় প্রার্থী করা হতে পারে, শাসকদলে এই গুঞ্জনও রয়েছে। সে সবের মধ্যেই ১৪ ফেব্রুয়ারির পরিকল্পনা জানালেন সায়ন্তিকা। যাতে রূপক হয়ে উঠল নীল-সাদা হাওয়াই চটি। কেন দিলেন, সত্যিই কি জানেন না সায়ন্তিকা?