দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক সদর দফতরের পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য প্রায় ন’বছর আগে ৫০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৫০ একর জমি মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে বলে মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
বাম জমানায় জমি দিয়েও ক্ষতিপূরণ না-পেয়ে মালিকেরা ২০০৯ সালে মামলা করেছিলেন। হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিংহ এ দিন বর্তমান রাজ্য সরকাকে নির্দেশ দেন, ৫০ একর জমি ফেরত দিতে হবে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, আদালতের রায় হাতে পেলে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
নানান প্রয়োজনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দূরতর প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদেরও আসতে হয় কলকাতার আলিপুরে ওই জেলার প্রশাসনিক সদর দফতরে। তাই ওই জেলার সদর বারুইপুরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ শুরু হয় দীর্ঘদিন আগে। সেখানে সদর গড়ে তোলার জন্য ২০০৭ সালে মোট ৫০০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল তৎকালীন বাম সরকার। তার মধ্যে বারুইপুরের জগদীশপুর, টমতলা, চকালালপুর, চাকারবেড় মৌজায় রয়েছে ৫০ একর জমি। ওই ৫০ একরের মধ্যে ৩৮ একর একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে আছে। বাকি ১২ একরে প্রায় ৩৫০টি প্লট রয়েছে একাধিক ব্যক্তির হাতে।
জমি-মালিকদের আইনজীবী কাশীকান্ত মৈত্র, দীপঙ্কর পাল ও তাপস সিংহ এ দিন জানান, মামলার আবেদনে বলা হয়, অধিগ্রহণের দু’বছর পরেও তাঁদের জমিতে কোনও কাজ হয়নি। জমির জন্য ক্ষতিপূরণও মেলেনি। তাই জমি ফিরিয়ে দিক রাজ্য সরকার। আইনজীবীরা জানান, সাত বছর ধরে মামলা চলার পরে দিন হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, ২০১৩ সালের কেন্দ্রীয় জমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন আইন অনুযায়ী মালিকেরা ওই জমি ফেরত পারেন। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা রাতে বলেন, ‘‘সদর দফতরের জন্য অধিগৃহীত জমি বেসরকারি কিছু সংস্থার মধ্যে বণ্টনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ওই জমি নিয়ে আদালতের নির্দেশ দেখে পদক্ষেপ করা হবে।’’