তাঁর নামে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে সিআইডি-তদন্ত জারি আছে এখনও। পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করে গিয়েছে। কিন্তু অভিযোগের নিষ্পত্তির আগেই মৎস্য দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা (সদর) শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ফের ‘সসম্মানে’ তাঁর পুরনো পদে বহাল হলেন। মৎস্য দফতরের জমি বিলি নিয়ে কেলেঙ্কারির একটি চক্রের কারসাজি ধামাচাপা দিতেই এই পদক্ষেপ কি না, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে।
মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ অবশ্য এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন। তাঁর দাবি, ‘‘সিআইডি তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার আগে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।’’ মুখে কুলুপ শৈলেন্দ্রবাবুরও। তিনি ফোন ধরেননি, এসএমএসেরও জবাব দেননি।
মৎস্য দফতর সূত্রের খবর, বছর দেড়েক আগে ‘কগনিশন ফিশারিজ’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থাকে ১৩৬ একর জমি লিজ দেওয়ার সময়ই বিতর্কের সূত্রপাত। অভিযোগ, দরপত্র ছাড়াই দিঘার কাছে শঙ্করপুরে এই জমি লিজ দেওয়া হচ্ছিল। জমির মালিক রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমকে পুরো অন্ধকারে রেখে চলছিল এই হস্তান্তর। টের পেয়ে নিগমের এম ডি সৌম্যজিৎ দাস বিষয়টি মৎস্যমন্ত্রীর নজরে আনেন। তখনই দেখা যায়, দফতরের তৎকালীন যুগ্ম অধিকর্তা (সদর) শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও তদানীন্তন সচিব সৈয়দ আহমেদ বাবার জারি করা দু’টি নির্দেশিকার ভিত্তিতে এই কাণ্ড ঘটছে। তাতে সচিবের সই জাল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এর পরেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
সিআইডি সূত্রের খবর, শৈলেন্দ্রবাবু ছাড়া দফতরের আরও দুই আধিকারিককে জেরা করা হয়েছে। দফতরের ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন ইউনিট (আইপিইউ) থেকে উদ্ধার করা জমি-লিজ সংক্রান্ত নথিতেও গরমিল। গত ডিসেম্বরে শৈলেন্দ্রবাবুকে বদলিও করা হয়। তা হলে ফের তাঁকে পুরনো পদে বহাল করা হল কেন? এখন মন্ত্রীর জবাব, ‘‘যুগ্ম অধিকর্তা (সদর) পদটি বহু দিন খালি। ওই পদে দায়িত্ব নেওয়ার মতো শৈলেন্দ্রবাবু ছাড়া আর কেউ নেই।’’