(বাঁদিকে) সল্টলেকের এই অংশে দুর্ঘটনাটি ঘটে, ঘাতক বাস (ডানদিকে)। —ফাইল ছবি।
বেপরোয়া বাসচালকদের রেষারেষি থেকে একের পর এক প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তলব করা এই বৈঠকে থাকবেন নগরোন্নয়ন ও পরিবহণ দফতরের কর্তাব্যক্তিরা। থাকবেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এ ছাড়া রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, কলকাতা ও বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার, বিভিন্ন সরকারি পরিবহণ নিগমের প্রতিনিধি ও বেসরকারি বাস ও অন্য যানবাহন মালিকদের সংগঠনের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। জেলার পুলিশ সুপারদেরও এই বৈঠকে শামিল করার কথা ভাবা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সল্টলেকে দু’টি বাসের রেষারেষিতে মৃত্যু হয় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের। তার পরেই উত্তরবঙ্গ সফরে থাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেন। বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর ঘটনায় রাশ টানতে চায় পরিবহণ দফতর। তাই এ বার কড়া আইন এনে এই ধরনের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত গাড়িচালকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করার ভাবনাচিন্তা চলছে। তবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরের ক্ষেত্রে আগে প্রয়োজন হবে কঠোর আইনের। বর্তমানে যে আইন রয়েছে, তাতে শক্ত ধারা থাকলেও, দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে খুনের ধারা দেওয়ার উল্লেখ নেই। তাই এ ক্ষেত্রে আইন সংশোধন করা উচিত বলেই মনে করছেন পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের একাংশ।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে দুর্ঘটনা কমানোর পাশাপাশি বেপরোয়া গাড়ির দৌরাত্ম্যে রাশ টানার বিষয়েও আলোচনা হবে। তবে কড়া আইন আনার পক্ষপাতী দুই দফতরের আধিকারিকেরা। নবান্নও চাইছে কড়া আইন এনে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই উত্তরবঙ্গ সফর সেরে কলকাতায় ফেরার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি বৈঠক নিয়ে খোঁজখবর নেবেন। অন্য দিকে, কড়া বিধি বলবৎ করতে হলে আইন সংশোধন জরুরি। তেমনটা করতে হলে বিধানসভায় বিল পাশ করাতে হবে। আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে সেই বিল কি পেশ করা হবে? সে বিষয়েও আলোচনা চলছে পরিবহণ দফতরে।