বাংলার দিন ও রাতের তাপমাত্রার ধরনে বদল আসছে। বদলে যাচ্ছে বর্ষা এবং বর্ষণের চরিত্রও। জলবায়ুর এই বদলের প্রভাব পড়ছে চাষে। রাজারহাট এলাকায় নগরায়ণের পরিকল্পনায় খামতির জেরে জলাভূমি কমছে। বদলে যাচ্ছে কলকাতার তাপমাত্রার ধরন। শহরের জলবায়ু বদলের জেরে বিপন্ন জীববৈচিত্রও।
দীর্ঘদিন ধরে এমন অভিযোগ করে আসছেন পরিবেশকর্মীরা। শুক্রবার ‘ইন্ডিয়ান সোসাইটি অব রিমোট সেন্সিং’ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে নানান তথ্য তুলে ধরলেন গবেষকেরা। বিজ্ঞানীরা জানান, জলবায়ু বদলের ক্ষেত্রে রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠছে। এই ধরনের গবেষণা তারই প্রমাণ।
রিমোট সেন্সিং কী? বিজ্ঞানীরা বলছেন, আকাশ বা মহাকাশ থেকে উন্নত মানের ক্যামেরার সাহায্যে ভূপৃষ্ঠ, সমুদ্র কিংবা ভূগর্ভের ছবি তুলে তা থেকে তথ্য জোগা়ড় ও বিশ্লেষণ করাকেই সহজ কথায় বলা হয় রিমোট সেন্সিং। বর্তমানে কৃত্রিম উপগ্রহের উন্নত মানের ক্যামেরা দিয়েই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই কাজ করা হয়। শুধু ভূপৃষ্ঠ নয়, মঙ্গল, চাঁদ বা অন্যান্য গ্রহ-গ্রহাণুর তথ্যও এ ভাবে জোগাড় করা হয়। গত এক দশকে ভারত এই প্রযুক্তিতে বহু উন্নতি করেছে। মঙ্গলযানে সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ভারতের মহাকাশবিজ্ঞানীরা।
মহাকাশের বিভিন্ন ঘটনার নিখুঁত পূর্বাভাসের ক্ষেত্রেও রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি কী ভাবে সাহায্য করতে পারে, সেটা এ দিন উঠে আসে বসু বিজ্ঞান মন্দিরের বিজ্ঞানী অধ্যাপক শিবাজী রাহার বক্তৃতায়। তিনি জানান, সৌরঝড়ের দরুন প্রচুর তড়িদাহত কণা বেরোয়। তার প্রভাবে মহাকাশযান এবং যোগাযোগের জন্য পাঠানো কৃত্রিম উপগ্রহ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই ঝড়ের আভাস পেলে সেই বিপদ এ়়ড়ানো সম্ভব।