নারদ ভিডিও ফুটেজের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের আইনজীবী যে-প্রশ্ন তুলেছিলেন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী মনে করেন, তা ঠিক নয়। ওই সব ফুটেজের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এখনও আসেনি বলেও মঙ্গলবার মন্তব্য করেন বিচারপতি।
নারদ-কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিয়ে অভিযুক্ত ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সিবিআই। সেই তালিকায় আছেন অপরূপাও। তিনি হাইকোর্টে মামলা করে জানান, যে-সময়ে (২০১৪ সাল) ওই ভিডিও তোলা হয়েছিল, তখন তিনি সাংসদ ছিলেন না। তাই এফআইআরে তাঁর নাম থাকতে পারে না। তা ছাড়া তাঁর সঙ্গে কথা না-বলে, তদন্ত না-করেই এফআইআর করেছে সিবিআই।
অপরূপার আইনজীবী এ দিনের শুনানিতে নারদ নিউজের স্টিং অপারেশনের ভিডিও ফুটেজের গ্রহণযোগ্যতা ও সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর প্রশ্ন, প্রথমে আইফোন, সেখান থেকে ল্যাপটপ, সেখান থেকে পেনড্রাইভে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ফুটেজ। ফলে এটাই যে আসল, তা কী করে বোঝা যাবে?
আরও পড়ুন: বিদেশেও মমতার মন পড়ে পাহাড়ে
বিচারপতি বাগচী তাঁর প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বলেন, সিবিআইয়ের তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সেই তদন্ত আরও কিছুটা এগোলে তখনই বোঝা যেতে পারে, ফুটেজের সত্যতা আছে কি না। তবে এর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কেন সেটা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, তার ব্যাখ্যায় বিচারপতি জানান, বৈদ্যুতিন সাক্ষ্যপ্রমাণ আইন অনুযায়ী ফুটেজ যাঁর হেফাজতে থাকে, তাঁকে সেগুলো সত্য বলে ঘোষণা করতে হয়। এ ক্ষেত্রে ওই ভিডিও ফুটেজের মালিক ম্যাথু স্যামুয়েল ইতিমধ্যে সেই ঘোষণা করেছেন। তাই এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না।
শুনানিতে সিবিআইয়ের কৌঁসুলি জানান, যে-ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে নারদের ভিডিও ফুটেজ পাঠানো হয়েছিল, তারা বলেছে, আইফোনে ওই ফুটেজ আর পাওয়া সম্ভব নয়। তবে ল্যাপটপে ওই ফুটেজ মুছে গেলেও তা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
৩০ জুন আবার এই মামলার শুনানি হবে। সে-দিন সিবিআইয়ের কৌঁসুলিকে আরও কিছু তথ্য আনার আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি বাগচী।