—প্রতীকী ছবি।
দুর্নীতির দায়ে দুই মন্ত্রী জেলে। অভিযোগের মূল তির সরকারি অফিসার ও জনপ্রতিনিধিদের ঘিরেই। এমত অবস্থায় রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা (অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ বা এসিবি)-র দাবি, পুলিশ ও রাজ্য সরকারি অফিসারদের একটা বড় অংশও দুর্নীতিগ্রস্ত। বিভিন্ন সূত্রে থেকে খবর পেয়ে সেই দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে তারাও। অভিযুক্ত বেশিরভাগ সরকারি কর্মী-অফিসার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠেছেন বলে গোয়েন্দাদের দাবি। এমনকি তাঁদের একটি অংশ বেআইনি ভাবে বিভিন্ন কাজে টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।
সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা মিললে তা নবান্নে রিপোর্ট আকারে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নবান্ন থেকে অনুমতি এলেই ‘প্রিভেনশন অব করাপশন অ্যাক্ট’ বা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু করে মূল তদন্ত হচ্ছে। পরের ধাপে জমা পড়ছে চার্জশিট।
এসিবি সূত্রের খবর, যে কয়েকশো অভিযোগ জমা পড়েছিল, তার মধ্যে নবান্নের অনুমোদন মেলায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে গত দেড় বছরে। বাকিদের বিরুদ্ধে অনুমোদন এলে তাঁদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হবে। ওই ৩০ জনের মধ্যে ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে।
উল্লেখ্যে, গত বছর মামলা দায়ের করে একাধিক পুলিশ অফিসারের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তল্লাশি থেকে বাদ যাননি সরকারের অন্য দফতরের অভিযুক্ত অফিসাররাও। নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্য়েক সরকারি অফিসারকেই প্রতি বছর নিজের আয়ের হিসাব জমা দিতে হয় সরকারের কাছে। তল্লাশিতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির হিসাবের সঙ্গে অভিযুক্ত অফিসারদের জমা দেওয়া ওই সম্পত্তির তালিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্পত্তির উৎস জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাঁদের হিসাবে অসঙ্গতি মিলেছে, তাঁদের বিরুদ্ধেই নবান্নে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে বলে এসিবি সূত্রের দাবি।
এসিবি-র দাবি, গত কয়েক মাসে তাদের কাছে বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কয়েকশো অভিযোগ জমা পড়েছিল। তার জেরেই দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয় গোপনে। তথ্য সংগ্রহ করা হয় সংশ্লিষ্ট কর্মী আধিকারিকদের বিভাগ থেকে।