ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে বেরনোর সময়েও এ দিন মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ব বাংলা এবং জাগো বাংলা বিতর্কে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা অভিষেকের তরফে দায়ের করা হয়েছিল সোমবারই। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আজ তার প্রথম শুনানি হল। আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, বিজেপির সভামঞ্চ থেকে মুকুল রায় তাঁর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অভিযোগ যদি প্রমাণ করতে পারেন মুকুল রায়, তা হলে রাজনীতিতে আর থাকবেন না তিনি— আদালত ছেড়ে বেরনোর সময় এমন চ্যালেঞ্জও ছুড়ে গেলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি।
ব্যাঙ্কশাল কোর্টের ১২ নম্বর এজলাসে ম্যাজিস্ট্রেট পূর্বা কুণ্ডুর সামনে এ দিন হাজিরা দেন অভিষেক। বিচারককে তিনি জানান, ১০ নভেম্বর মুকুল রায় বিজেপির সভা থেকে বিশ্ব বাংলা এবং জাগো বাংলা নিয়ে যা বলেছিলেন, তা ভিত্তিহীন। বিশ্ব বাংলা বা জাগো বাংলার মালিকানা কোনও দিনই তাঁর হাতে ছিল না বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন। মুকুল রায়ের ভিত্তিহীন অভিযোগে তাঁর সম্মান নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে বিতর্কের মাঝেই ‘বিশ্ব বাংলা’ বিল
অভিষেকের হয়ে এ দিন সাক্ষ্য দেন সৌম্য বক্সি। জোড়াসাঁকোর বিধায়ক স্মিতা বক্সির ছেলে তথা তৃণমূলে অভিষেক ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সৌম্য আদালতে জানান, মুকুল রায় যে সব অভিযোগ করেছেন, তাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তাঁর ধারণায় ধাক্কা লেগেছে। তৃণমূলের যুব সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে অনুগামীদের মধ্যে। আদালতে দাবি করেন সৌম্য।
আরও পড়ুন: বার্ধক্য ভাতায় কোপে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী
শুনানি শেষে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও নিজের ক্ষোভ গোপন রাখেননি অভিষেক। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ মুকুল রায় তুলেছেন, তা যদি তিনি প্রমাণ করতে পারেন, তা হলে রাজনীতির আঙিনায় আর পা রাখব না।’’ আর যদি অভিযোগ প্রমাণিত না হয়, তা হলে মুকুল রায়ের উচিত রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া— মন্তব্য অভিষেকের।