মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে শরদ পওয়ারের ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে যেতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
বিরোধী শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঠিক করতে বিরোধী শিবিরের দ্বিতীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। সেই বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তৃণমূল সূত্রে এমনটাই খবর। শনিবার পওয়ার ই-মেল করে বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের মঙ্গলবারের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু পওয়ারের সেই চিঠির বয়ান তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে আঘাত করেছে বলে সূত্রের খবর। এর আগের বার মমতা সবাইকে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। কেন বিরোধীদের একজোট হওয়া প্রয়োজন, চিঠিতে তার উল্লেখ ছিল। ১৭টি বিরোধী দলের সেই বৈঠকে প্রার্থী চূড়ান্ত না হলেও বিরোধী দলগুলি সর্বসম্মত প্রার্থী দেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। পওয়ারের চারটি বাক্যের চিঠিতে আগের বৈঠকের কোনও প্রসঙ্গই নেই। তাই সেই বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সেই বৈঠকে দিল্লি যেতে পারেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। তৃণমূল সূত্রে খবর, দিল্লি যাওয়ার আগেই অবশ্য রবিবার ত্রিপুরা যাওয়ার কথা তাঁর। ত্রিপুরায় চারটি আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। সেই কারণে শেষ মুহূর্তের প্রচারে অংশ নেবেন অভিষেক। সোমবার সকাল ১১টায় আগরতলায় একটি সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন তিনি। পরে আগরতলায় বিকেলের দিকে অভিষেক একটি জনসভাও করবেন। সূত্রের খবর, সন্ধ্যায় ত্রিপুরা থেকেই বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিতে সোজা দিল্লিতে উড়ে যাবেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঠিক করার বৈঠকে মমতার বদলে অভিষেকের যোগ দেওয়াকে স্বাভাবিক ঘটনা বলেই মনে করছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। এক নেতার কথায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অভিষেক এই বৈঠকে যোগ দিতেই পারেন। কারণ তিনি ওই বৈঠকে মমতার প্রতিনিধিই হবেন। কারণ, দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভোটে বিরোধী হিসেবে প্রথম বৈঠক করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেই দিয়ে এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তা ছাড়া, ২০১২ সালে যে বৈঠকে ইউপিএ শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই বৈঠকে তৃণমূলের তরফে যোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।