ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার ও নিয়োগ দুর্নীতিতে অস্বস্তি বেড়েছে দলে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রচারে প্রায় রোজই রাস্তায় নামছে বিরোধীরা। এই অবস্থায় জেলায় জেলায় দলকে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি করতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রের খবর, আজ, সোমবার দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির সভাপতি, চেয়ারম্যান-সহ শাখা সংগঠনের সভাপতিদের কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। আলাদা করে জেলার নেতাদের সঙ্গে ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলোচনা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। আগামিকাল, ২ অগস্ট মালদহ, দুই দিনাজপুরের নেতৃত্বকে ডাকা হয়েছে।
দলের সাংগঠনিক দিকটি নতুন করে ঢেলে সাজানোর জন্য টানা এ ধরনের পরপর বৈঠকের ইঙ্গিত অভিষেকের দিক থেকে আগেই ছিল বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এই বৈঠক সেই সিদ্ধান্তেরই অংশ বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির জেরে এ ধরনের বৈঠক বাড়তি মাত্রা পাচ্ছে বলেই দলীয় সূত্রের খবর। বিশেষ করে, দলেরই একটি অংশের বক্তব্য অনুযায়ী, দলের যে সমস্ত বিধায়কের বিরুদ্ধে রিপোর্ট আছে, তাঁদের নিয়ে ভাবনাচিন্তার বিষয়ে অভিষেকের তরফে আগে থেকেই ইঙ্গিত ছিল। তৃণমূল সূত্রের খবর, রবিবার থেকেই চার জেলার নেতানেত্রী কলকাতা যেতে শুরু করেছেন। প্রতি জেলার চেয়ারম্যান, সভাপতি, মহিলা সভাপতি, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি এবং যুব সভাপতিকে ডাকা হয়েছে। বৈঠকে প্রতিটি জেলার বর্তমান সাংগঠনিক স্তরের কাজকর্মের উপর তৈরি রিপোর্ট কার্ড জেলা ভিত্তিক আলোচনা হবে বলে ঠিক হয়েছে। একমাত্র দার্জিলিং জেলায় জিটিএ, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ, শিলিগুড়ি পুরসভা ভোট পরপর হওয়ায় এখানে এখনও সাংগঠনিক রিপোর্ট কার্ড তৈরি হয়নি। এ জেলার পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটিও নেই। প্রতি জেলার পরিস্থিতি, সাংগঠনিক সাফল্য এবং অভিযোগ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।
দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে বিজেপির পরিস্থিতি, রাজ্যভাগের দাবি— এ সব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই মোকাবিলার রাস্তা স্থির হবে। তেমনই, নতুন পরিস্থিতিতে আগামী পঞ্চায়েত ভোট দলের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে ধরেই লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে বলা হতে পারে। দলীয় সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ দিয়ে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গ হয়ে পরের দিকে কলকাতার নেতৃত্বকে নিয়েও অভিষেক বসবেন।