Abhishek Banerjee

২ লক্ষ লোক নিয়ে দিল্লিতে ধর্না দেবেন অভিষেক! ১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিতে চিঠি লিখবেন মোদীকে

রাজ্যের সকল তৃণমূল ব্লক সভাপতিকে অভিষেক নির্দেশ দেন, ১০০ দিনের কাজ করেও যাঁরা টাকা পাননি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে এমন মানুষদের সই সংগ্রহ করে আনতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৩ ২২:৪৮
Share:

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।

১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা কেন্দ্রের কাছ থেকে ‘ছিনিয়ে’ আনার কথা আগেই বলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার তা নিয়ে নিজেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহকে চিঠি লিখছেন বলে জানালেন তিনি। সোমবার দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে অভিষেক এমনটাই জানিয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। পাশাপাশি, তিনি এ-ও জানান যে, ২ লক্ষ লোকের জমায়েত করবেন রাজধানী দিল্লিতে। সেখানে বসবেন ধর্নায়।

Advertisement

কেন্দ্রের কাছে ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া রয়েছে। এ নিয়ে রবিবার আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করেছিলেন অভিষেক। শুধু তাই নয়, ১৬ এপ্রিল থেকে নতুন ‘কর্মসূচি’র কথাও বলেন। বাংলার সমস্ত তৃণমূল ব্লক সভাপতিকে অভিষেক নির্দেশ দেন, ১০০ দিনের কাজ করেও যাঁরা টাকা পাননি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে এমন মানুষদের সই সংগ্রহ করে আনতে হবে। সেই সব সই সংবলিত চিঠি তিনি নিজে পৌঁছে দেবেন প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর দফতরে। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমাকে আপনারা এক কোটি সই দিন। আমি ১০০ দিনের টাকা দিল্লির বুক থেকে ছিনিয়ে আনবই।’’

সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠকে অভিষেক ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’র কথা বলেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের সর্ববারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, আগামী ২৫ মে পর্যন্ত ওই সই গ্রহণ পর্ব চলবে। তার পর তিনি নিজে চিঠি লিখবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী ও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজকে৷ নেতাদের তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, প্রত্যেক বুথ এবং অঞ্চল থেকে এই চিঠি লিখে আনতে হবে৷ সেই সব চিঠির সারমর্ম হবে বাংলাই একমাত্র রাজ্য, যার সঙ্গে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র। এই ভাবে অন্তত দেড় কোটি চিঠি পাঠানো হবে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর দফতরে৷

Advertisement

সোমবার অভিষেকের ডাকা বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের বিভিন্ন জেলার সভাপতি, বিধায়ক, সাংসদ, ব্লক সভাপতি ও শাখা সংগঠনের নেতা। তাঁদের প্রত্যেককেই বার বার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, অশান্তি থেকে দূরে থাকা এবং মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার কথা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement