অমিতকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ অভিষেকের। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
তাঁর রাজনৈতিক অস্তিত্ব দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে— শুক্রবার বীরভূমে অমিত শাহের ভাষণ শুনে এমনই অনুমান করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি টুইট করে অভিষেক জানিয়েছেন, তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যন্ত্রণা লাঘব করতে প্রস্তুত। দরকারে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। তবে তার বদলে শাহকেও তাঁর দেওয়া একটি শর্তপূরণ করতে হবে।
কী সেই শর্ত? টুইটারে শাহকে উদ্দেশ্য করে লেখা টুইটে তাও জানিয়েছেন অভিষেক। শুক্রবার বীরভূমের সভায় নাম না করে অভিষেককে কটাক্ষ করে শাহ বলেছিলেন, ‘‘মমতাদিদি যতই চান না কেন, ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না।” নাম না করলেও ভাইপো বলতে যে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতুষ্পুত্র অভিষেককেই ইঙ্গিত করেছেন, তা স্পষ্ট। টুইটারে অভিষেক লিখেছেন, ‘‘আপনার যদি আমার অস্তিত্বে এতটাই যন্ত্রণা হয়, তবে আপনি বরং এক কাজ করুন, বাংলার অধিকারের ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রাপ্য অর্থ মিটিয়ে দিন। আমি নিজেকে সব ধরনের রাজনীতি থেকে সরিয়ে নেব।’’
তবে একই সঙ্গে অভিষেক ওই টুইটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, শাহ কতটা খারাপ কথা বলতে পারেন তার অনুমান আগে থেকেই ছিল তাঁর। শাহ সেই অনুমান সত্যি প্রমাণ করেছেন।
শুক্রবার বাংলা সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম সভাটি তিনি করেছেন বীরভূমে। সেই সভায় ছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও। সভায় শুভেন্দুর সঙ্গে একযোগে বাংলায় পরিবারতন্ত্র চলছে বলে কটাক্ষ করেন শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যা করার করে নিন দিদি আর ভাইপো, আমরা দুর্নীতি বন্ধ করে ছাড়ব। বাংলার যুবকদের চাকরি দেওয়ার নামে দুর্নীতি চলবে না।”
বিকেলের সেই আক্রমণের জবাব আসে সন্ধ্যায় অভিষেকের টুইটার থেকে। তিনি লেখেন, ‘‘আপনি অনেক কিছুই বললেন, কিন্তু বিজেপি বাংলার যে ক্ষতি করেছে, সে বিষয়ে একটি কথাও বললেন না।’’ এর পরেই শাহকে তাঁর যন্ত্রণা লাঘবের নিদান দেন অভিষেক। জানিয়ে দেন, শাহ তাঁর শর্ত মানলে তিনি তাঁকে স্বস্তি দিতে রাজি।