Abhishek Banerjee

ভাঙড় ও ক্যানিংয়ে প্রশ্ন অভিষেকের নীরবতায়

মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ির মতো জেলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি শাসক দল। কিন্তু বহু জায়গায় তিনটি স্তরেই শাসক দলের প্রতিনিধিরা মনোনয়ন জমা করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৩ ০৭:৪৫
Share:

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

সারা দিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের কাছাকাছি থেকেও ওই ঘটনা নিয়ে একটি কথাও বললেন না দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তাঁর জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল জেলারই একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে। তার মধ্যেই ৩০ কিলোমিটার দূরে ক্যানিংয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বোমা-গুলির লড়াই চলেছে দীর্ঘ সময় ধরে।

Advertisement

নিজে বারবার শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশ্বাস দিলেও কেন এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণে অভিষেক কোনও বার্তা দিলেন না, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে। সেই সঙ্গেই তৃণমূলের একাংশের প্রশ্ন, মঙ্গলবার উত্তপ্ত ভাঙড়ে থেকেও কেন সেখানে আহত দলীয় কর্মীদের দেখতে যাননি তিনি।

জনসংযোগ কর্মসূচিতে মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পৌঁছন অভিষেক। তাঁর কর্মসূচি শুরুর আগেই মনোনয়ন জমা নিয়ে আইএসএফ ও তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে জেলার ভাঙড় ২ নম্বর ব্লক। দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন কর্মী-সমর্থক আহত হন। ভাঙড়েরই ১ নম্বর ব্লকে রোড শো কর্মসূচিতে থাকলেও অভিষেক এই অশান্তি নিয়ে মুখ খোলেননি।

Advertisement

অভিষেক আহত তৃণমূল কর্মীদের দেখতে না যাওয়ায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতার কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এই এলাকায় কর্মসূচিতে থাকলে, তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা না করে যেতেন না।’’ ভাঙড়ের ভারপ্রাপ্ত তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা অবশ্য বলেন, ‘‘এখানে পৌঁছনোর পরেই অভিষেক জানিয়েছিলেন, তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। বেশি দূর হাঁটতেও পারেননি। উঠে পড়েন গাড়িতে।’’

এ দিকে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার এক দিন আগেও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দলীয় প্রার্থীদের নাম নিয়ে সংশয় ছিল তৃণমূলেও। তৃণমূলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নন্দীগ্রামে প্রার্থী নিয়ে দ্বন্দ্ব জটিল আকার নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হয়েছেন শেখ সুফিয়ান। তবে তা নিয়েও এ দিন বিকেল থেকে সুফিয়ানের বিরোধী গোষ্ঠীর বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। দলের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পার্টি অফিসে তালা দিয়ে দেন তাঁরা। রাতে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে নন্দীগ্রামে গিয়েছেন জেলার ভারপ্রাপ্ত নেতা কুণাল ঘোষ।

মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ির মতো জেলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি শাসক দল। কিন্তু বহু জায়গায় তিনটি স্তরেই শাসক দলের প্রতিনিধিরা মনোনয়ন জমা করেছেন। তাতে দলের প্রতীক কে পাবেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে। জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগ তুলে গণইস্তফা দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সহ-সভাপতি আনহারুল হক। এ দিন উত্তর দিনাজপুরের বিদায়ী সহ-সভাধিপতি ফারহাত বানু তাঁর স্বামী জাভেদ আখতারকে নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। কংগ্রেসের প্রার্থী হতে পারেন তিনি।

টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন কোচবিহারের দিনহাটা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিজুল হক। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন কোচবিহার জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া। অন্য দিকে, বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জেলবন্দি। এ বার দলে তাঁর কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত কাজল শেখকে জেলা পরিষদে প্রার্থী করেছে তৃণমূল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement