মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে অভিষিক্ত হয়েছেন সদ্য। তার পরেই দলের প্রবীণ নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করে এলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের তরফে তরুণ নেতার এই পদক্ষেপকে সৌজন্যমূলক বলেই বর্ণনা করা হচ্ছে। অভিষেকের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বলেছেন, দলের সৈনিক হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে যেমন ছিলেন, তেমনই থাকবেন।
মমতার ডাকা তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে শনিবার অভিষেককে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। মুকুল রায় দল ছাড়ার পরে ওই পদে ছিলেন সুব্রত বক্সী। নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পরে রবিবার অভিষেক গিয়েছিলেন পার্থবাবু ও বক্সীর বাড়িতে। পরে গিয়েছিলেন আর এক বর্যীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছেও। তিন নেতাই জানিয়েছেন, অভিষেক তাঁদের কাছে আশীর্বাদ ও পরামর্শ চেয়েছেন।
দলে এখন ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনে চলার কথা বলেছেন তৃণমূল নেত্রী। পার্থবাবু সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের মহাসচিব। আবার বক্সী দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি রাজ্য সভাপতিও ছিলেন। বক্সীর একটি দায়িত্ব যেমন অভিষেকের কাছে হস্তান্তর হয়ে গেল, পার্থবাবুকেও কি তা হলে এর পরে একটি দায়িত্বেই মন দিতে দেখা যাবে? সরাসরি মন্তব্যে না গিয়ে পার্থবাবু এ দিন বলেছেন, ‘‘দলের সৈনিক হিসেবে আগে যে রকম ছিলাম, এখনও সে রকমই থাকব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থেকে দলকে শক্তিশালী করব।’’
অভিষেকের সৌজন্য মন ছুঁয়ে গিয়েছে বর্যীয়ান নেতাদের। পার্থবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমার আশীর্বাদ ওঁর সঙ্গে সব সময়েই রয়েছে। নতুন করে আশীর্বাদ চাওয়ার কিছু নেই। সুদীর্ঘ সময়ে ব্যক্তিগত আলাপচারিতাও হয়েছে। তবে প্রশাসন ও দলের মধ্যে কী ভাবে কাজ করতে হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হয়েছে।’’ সুব্রতবাবুও বলেছেন, ‘‘দীর্ঘ ক্ষণ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সৌজন্যের পাশাপাশি সংগঠন শক্তিশালী করা নিয়ে অভিষেকের সঙ্গে কথা হয়েছে।’’ গোটা বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে অভিষেক যে ভাবে লড়াই চালিয়েছেন, তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন সুব্রতবাবু।