বারাসতের কদম্বগাছিতে আব্বাস সিদ্দিকী। —নিজস্ব চিত্র
নরেন্দ্র মোদীর চেয়েও বড় বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে কার্যত একাসনে বসিয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। বারাসতের কদম্বগাছিতে একটি ধর্মীয় জলসায় বৃহস্পতিবার ফের রাজনৈতিক দল ঘোষণার কথাও বললেন তিনি। তবে সেই দলের নাম, নীতি বা অন্য কোনও দলের সঙ্গে জোট হবে কি না, সে বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করেননি আব্বাস। সিএএ-র বিরোধিতা করে নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবিও তুলেছেন তিনি।
কয়েক দিন আগেই অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বৈঠক করে গিয়েছেন আব্বাসের সঙ্গে। বৈঠকের পরে তিনি ঘোষণা করে গিয়েছেন, বাংলায় আব্বাসের সঙ্গে তাল মিলিয়েই পথ চলবে তাঁর দল। ফলে জল্পনা তীব্র হয়। আবার বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কথাবার্তাও শুরু হয়েছিল। কিন্তু আব্বাসের ঘোষণার পর সেই প্রক্রিয়া কিছুটা স্তিমিত হয়েছে। তবে আগামিকাল শুক্রবার ফের ফুরফুরায় যাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান। আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করার কথাও রয়েছে তাঁর। ফলে সেই সম্ভাবনাও রয়েছে।
তবে তাঁরা যে বিজেপি এবং তৃণমূল— দুই দলের ঘোরতর বিরোধী, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন আব্বাস। বারাসতের জলসায় তিনি বলেন, ‘‘বাম জমানায় বিজেপির ঝান্ডা ধরার কেউ ছিল না। কিন্তু তৃণমূলের শাসনের সময়েই বিজেপি-র বাড়বাড়ন্ত।’’ ‘মোদীর চেয়েও বড় বিজেপি মমতা’— এমন মন্তব্যও শোনা গিয়েছে আব্বাসের মুখে।
আরও পড়ুন: বর্ধমানের গ্রামে বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করবেন নড্ডা, নয়া কৌশল বিজেপি-র
আরও পড়ুন: কংগ্রেসকে নিয়ে ফেব্রুয়ারির শেষ রবিবার বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ
অমিত শাহ কিছু দিন আগে বীরভূম সফরে এসে বলেছিলেন, ‘‘সিএএ এবং এনআরসি-র কাজ করোনার জন্য থেমে রয়েছে।’’ এই পরিস্থিতি কেটে গেলেই চালু হবে বলে ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু সিএএ কোনও ভাবেই মেনে নেবেন না বলে জানিয়ে আব্বাস বলেন, ‘‘আমরা চাই নিঃশর্ত নাগরিকত্ব।’’ মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি-র পক্ষে বলে তোপ দেগে আব্বাস বলেন, ‘‘মমতার সঙ্গে আমাদের মতের পার্থক্য রয়েছে। উনি এনআরসি-র পক্ষে। কিন্তু আমরা চাই নিঃশর্ত নাগরিকত্ব।’’