Howrah

শিবপুরের রাস্তায় গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, সঙ্গীও গুলিবিদ্ধ

বিকেল চারটে নাগাদ ধর্মেন্দ্র বটানিক গার্ডেনের তিন নম্বর গেটের কাছে পৌঁছতেই তিন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:৩৭
Share:

ধর্মেন্দ্র সিংহ। নিজস্ব চিত্র।

হাওড়ার শিবপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে খুন করা হল এক তৃণমূল নেতাকে। মৃতের নাম ধর্মেন্দ্র সিংহ। বছর চল্লিশের ধর্মেন্দ্র হাওড়া পুরসভার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ শিবপুর বটানিক গার্ডেনের ৩ নম্বর গেটের সামনে তাঁকে লক্ষ্য করে ৬ রাউন্ড গুলি করা হয়। আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানিয়ে দেন।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শালিমার থেকে কাজ সেরে বি গার্ডেনের বাড়িতে বাইকে করে ফিরছিলেন। তাঁর বাইকের পিছনে বাঁটুল নামের অন্য এক যুবক ছিলেন। বিকেল চারটে নাগাদ ধর্মেন্দ্র বটানিক গার্ডেনের তিন নম্বর গেটের কাছে পৌঁছতেই তিন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মোট ৬ রাউন্ড গুলি চলে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। ধর্মেন্দ্র মাথাতেও গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তত ক্ষণে সব শেষ। বাঁটুলের হাতেও গুলি লেগেছে। তিনি এই মুহূর্তে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পৌঁছন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন ধর্মেন্দ্র। আমপানের সময় খুব ভাল কাজ করেছিল। ওর ভাল কাজ কারও সহ্য হচ্ছিল না। তাই সরিয়ে দিল।’’ কারা এই কাজ করতে পারে, তা নিয়ে মন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘বিরোধীদের হাত থাকলেও থাকতে পারে।’’ তিনি ধর্মেন্দ্রর পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলেন।

Advertisement

ইতিমধ্যেই বি গার্ডেন থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে, সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় সেখানে প্রচুর পুলিশ ও র‌্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে।

ধর্মেন্দ্র খুনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সন্ধ্যায় ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিযোগ, ধর্মেন্দ্রর অনুগামীরা বি গার্ডেন গেট এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন। এলাকার প্রায় গোটা দশেক দোকান, ৪টি বাসে ভাঙচুর চালানো হয়। ২টি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকি ওই এলাকায় এক আবাসনের একটি ঘরে ঢুকে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement