— ফাইল চিত্র
সন্ধের মুখে উড়ো চিঠিটা আসে একেবারে সটান ডোমকল থানায়। মিনিট পনেরো আগে, একই বয়ানে একটি চিঠি আসে স্থানীয় বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরে— ‘আমাদের ৯ জনকে ধরেছ, এ বার ঠ্যালা বোঝো। আগামী দু’দিন মহকুমা জুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ না-রাখলে উড়িয়ে দেওয়া হবে থানা এবং বিদ্যুৎ দফতর।’ ভুল বানানে লাল-নীল আর কালো কালিতে লেখা চিঠির তলায় গোটা হরফে একটি মোবাইল নম্বর।
আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে দিন দুয়েক আগেই মুর্শিদাবাদের ওই মহকুমার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তার রেশ ফিকে হওয়ার আগেই এমন হুমকি-চিঠিতে সোমবার জেলার পুলিশ এবং প্রশাসনিক মহলে হইচই পড়ে যায়। শুরু হয় খোঁজ, কে দিল এমন হুমকি!
বিদ্যুৎ অফিসের সামনে সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও উড়ো চিঠির আড়ালে কে বোঝা যায়নি। তবে থানার ক্যামেরায় স্পষ্ট হয়ে যায় যুবকের চেহারা। চিঠিতে যে ফোন নম্বরটি ছিল তাতে ফোন করে পুলিশ বুঝতে পারে, উড়ো চিঠি যে দিয়েছে তার সঙ্গে ওই নম্বরের গ্রাহকের কোনও যোগসাজোশ নেই। তবে তদন্তে নেমে ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ডোমকলের জুগিন্দা থেকে আটক করা হয় ওই উড়ো চিঠির মালিককে! পুলিশের জেরায় সে কবুল করে, আদতে নিজের ভায়রাভাইকে ফাঁসিয়ে দিতেই তার নম্বর দিয়ে এমন কাণ্ড করেছে সে। খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, কারণটি নিছকই ব্যক্তিগত। পারিবারিক সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরেই এমন করেছে সে বলে পুলিশের কাছে কবুলও করে ওই যুবক। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘আপাত ভাবে ছেলেটি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত মনে হচ্ছে। তাকে জেরা করা হচ্ছে।’’