— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র
সুন্দরবনে বাঘেদের জন্য তৈরি হল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে এই হাসপাতালটি তৈরি করা হয়েছে। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জ়ু অথরিটি’র তত্ত্বাবধানে হাসপাতালটি তৈরির কাজ হচ্ছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে এই হাসপাতালটি তৈরি হলেও এখানে যাতে সব রকমের পশুকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। হাসপাতালের মূল ভবনটি তৈরি করা হলেও এখনও সেখানে বহু প্রযুক্তির সংযোজন বাকি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাঘ-সহ বিভিন্ন পশুপাখির চিকিৎসার জন্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম রাখা হবে এই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। পশুপাখিদের অস্ত্রোপচারের জন্য তৈরি হবে পৃথক অপারেশন থিয়েটার। ‘টাইগার রেফারেল সুপার স্পেশ্যালিটি হসপিটাল’ নাম দেওয়া হয়েছে এই অত্যাধুনিক চিকিৎসাকেন্দ্রের। বন দফতর সূত্রে খবর, হাসপাতাল চালু করার জন্য চিকিৎসার যে সব সরঞ্জাম প্রয়োজন হবে, তার তালিকা সরকারের কাছে আগেই পাঠানো হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে এক্স রে, ইসিজি, ইউএসজির মেশিন, অপারেশন থিয়েটারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি-সহ আরও অত্যাধুনিক চিকিৎসায় ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তির জিনিস। ২০২৩ সালের শেষের দিকে এই হাসপাতালটি উদ্বোধন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
সুন্দরবনের বাঘ, কুমির ছাড়াও যাতে অন্য বন্য প্রাণীদের চিকিৎসা করা যায়, সেই ভাবনা মাথায় রেখেই এই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালটি তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে আগত জীবজন্তুদের এখানে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য যাতে ভর্তি করানো যায়, সেই ব্যবস্থাও রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বর্তমানে সুন্দরবনের এই পুনর্বাসন কেন্দ্রে ৩টি বাঘ ও ১১টি কুমির রয়েছে। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা এখানেই রয়েছে। অত্যাধুনিক চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে একটি বিশেষ ধরনের ‘হাইড্রোলিক টেবিল’ আনার পরিকল্পনা রয়েছে। টেবিলটি সহজে ওঠানামা করবে। যাতে যে কোনও আয়তনের প্রাণীকে সেখানে শুইয়ে রেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া যায়। বাইরে থেকে চিকিৎসার জন্য প্রাণীদের এই হাসপাতালে আনার জন্য একটি বিশেষ ধরনের অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, এই হাসপাতালের জন্য ৪ জন চিকিৎসক এবং ১ জন অস্ত্রোপচারের চিকিৎসক থাকবেন। প্যাথোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট-সহ অন্যান্য জরুরি পদেও নিয়োগ হবে সময়ের ব্যবধানে।