বিকাশ ভবন। — ফাইল চিত্র।
বদলির নীতি নিয়ে শিক্ষকদের অভিযোগের অন্ত নেই। এ বার সেই শিক্ষকদের বদলি ও নিয়োগের নীতি নিয়ে সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস (এসএসসি) কমিশনকেই একগুচ্ছ প্রস্তাব দিল এক শিক্ষক সংগঠন। বুধবার বিকাশ ভবনে সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে স্মারকলিপি দেয় বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতি।
সেই স্মারকলিপিতে বদলি ও নিয়োগ নিয়ে কমিশনকে ১০টি প্রস্তাব দিয়েছে শিক্ষক সংগঠনটি। অভিযোগের সুরে তাঁরা জানিয়েছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে শিক্ষকদের বদলির জন্য আবেদন জানানোর পোর্টাল ‘উৎসশ্রী’ বন্ধ রয়েছে। ফলে পারস্পরিক সহমতের ভিত্তিতে বদলি চাওয়া ও সাধারণ নিয়মে বদলি চাওয়ার বিষয়গুলি ঝুলে রয়েছে। এ ছাড়াও নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
সেইসব জটিলতার সমাধান করতে ১০টি প্রস্তাব দিয়েছে শিক্ষক সংগঠন। তাতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, পারস্পরিক সহমতের ভিত্তিতে বদলি হতে চাওয়া যে বিষয়গুলি এসএসসি-র কাছে পড়ে রয়েছে, তা দ্রুততার সঙ্গে সমাধা করা হোক। সারা বছর এই ধরনের পারস্পরিক সহমতের ভিত্তিতে বদলি চাওয়ার বিষয়টি উন্মুক্ত রাখা হোক। সঙ্গে চাকরি জীবনের দু’বছর হয়ে গেলেই পারস্পরিক সহমতের ভিত্তিতে বদলির সুযোগ দিতে হবে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ থাকবে। এই সময়কালে যাঁরা বদলির আবদেন জানিয়েছেন, তাঁদের সমস্যার সমাধান করতে হবে।
প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে সব ক্ষেত্রেই বিজ্ঞপ্তি জারি করার কথাও স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে। সঙ্গে উচ্চপ্রাথমিকের নিয়োগে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা অবিলম্বে দূর করতে হবে। সঙ্গে যে শিক্ষকদের বদলি করা হচ্ছে তাদের প্রোফাইল প্রয়োজন সাপেক্ষে আনলক করার ক্ষমতা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের হাতে দিতে হবে।
এই শিক্ষক সংগঠনের নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা বদলি ও নিয়োগ নিয়ে কমিশনকে বেশকিছু প্রস্তাব দিয়েছি। আশা করব আমাদের দাবিপত্র খতিয়ে দেখে যুক্তিযুক্ত ভাবে কমিশন বদলি ও নিয়োগের বিষয়টি স্বচ্ছ করতে সেই পথগুলি অবলম্বন করবেন।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘শিক্ষা দফতরে যে ভাবে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে, তাতে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্বচ্ছতা জরুরি হয়ে পড়েছে।’’