Central Team

কেন্দ্রীয় দলকে ঘিরে ধরে দুর্নীতির নালিশ

বাদুড়িয়া ব্লকের যদুরহাটি দক্ষিণ পঞ্চায়েত এলাকায় এ দিন গিয়েছিলেন দুই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি। সঙ্গে ছিলেন বিডিও সুপর্ণা বিশ্বাস। গোখনা গ্রামে পৌঁছলে গাড়ি ঘিরে ধরে জনতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাদুড়িয়া শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৩১
Share:

দুর্নীতি ও অনুন্ননের নানা অভিযোগে ক্ষোভ জানান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। প্রতীকী ছবি।

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের হাল হকিকত দেখতে পর্যবেক্ষক দল যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। শনিবার দল গিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায়। দুর্নীতি ও অনুন্ননের নানা অভিযোগে তাঁদের ঘিরে ক্ষোভ জানান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশ।

Advertisement

গোলমালের খবর পেয়ে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রহিম দিলু থানায় যোগাযোগ করেন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি এস কে রায় পরে বলেন, ‘‘কিছুটা বিক্ষোভ হয়েছিল। যা জানানোর, যথাস্থানে জানানো হবে।’’

দিলু পরে বলেন, ‘‘যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, সকলেই হয়তো আমাদের দল করেন। তবে ক্ষোভ-বিক্ষোভ নিশ্চয়ই কিছু আছে। দলের নেতৃত্বকে বিষয়টি জানাব। কেন এমন হল, বিডিওর কাছেও জানতে চাইব।’’

Advertisement

বাদুড়িয়া ব্লকের যদুরহাটি দক্ষিণ পঞ্চায়েত এলাকায় এ দিন গিয়েছিলেন দুই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি। সঙ্গে ছিলেন বিডিও সুপর্ণা বিশ্বাস। গোখনা গ্রামে পৌঁছলে গাড়ি ঘিরে ধরে জনতা। পঞ্চায়েতে নানা দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান গ্রামের মানুষ। নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করে আলমগির কবীর, সরিফুল মণ্ডল, ইলিয়াস হোসেনেরা জানান, একটা পুকুর এক বার কেটে সাত বার পুকুর কাটার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। নিকাশি নালা না কেটেই টাকা তোলা হয়েছে। একই ব্যক্তিকে একাধিক বার ঘরের টাকা দেওয়া হয়েছে। বিধবা এবং বয়স্ক ভাতা মিলছে না। অঞ্জলি হালদার, শঙ্করী পাল, তাপসী পাল, মিনতি পালেদের অভিযোগ, তাঁরা গরিব হলেও সরকারি ঘরের তালিকায় নাম ওঠেনি।

তৃপ্তি পাল, মুনমুন পালেরা আশাকর্মী। তাঁদের আবার অভিযোগ, প্রশিক্ষণের সময়ে বলা হয়েছিল, যাঁদের পাকা বাড়ি নেই, তাঁদের নাম যেন তালিকায় ওঠে। সেই মতোই সমীক্ষা হলেও তালিকা প্রকাশের পরে দেখতে পান, দোতলা-তিনতলা বাড়ি আছে এমন অনেকের নাম উঠেছে তালিকায়। মুনমুনের কথায়, ‘‘যে গরিব মানুষ ঘর পেলেন না, তাঁরা আমাদের কাছে ক্ষোভ জানাচ্ছেন। অথচ, আমরা কাজটা সঠিক ভাবেই করেছি। তালিকা অন্য রকম হয়েছে।’’

অভিযোগ উড়িয়ে যদুরহাটি দক্ষিণ পঞ্চায়েতের প্রধান মোশারফ মণ্ডলের দাবি, ‘‘দুর্নীতির প্রশ্নই ওঠে না। বরং ঘর বিলি, রাস্তা, নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা জানিয়ে গিয়েছেন, সব ঠিক আছে।’’ ঘর বিলি নিয়ে কিছু সমস্যা আছে বলে অবশ্য মানছেন তিনি। দ্রুত ঠিক করারও আশ্বাস দেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement