Calcutta High Court

পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বেঞ্চ বদল করুন! হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি আইনজীবীদের একাংশের

পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার যে মামলাগুলি বিচারপতি মান্থার বেঞ্চ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে তাঁরা বয়কটের পথে যেতে পারেন বলে উল্লেখ করেছেন আইনজীবীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:৪১
Share:

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিচার্য বিষয় বদল চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিলেন বার অ্যাসোসিয়েশনের কয়েক জন আইনজীবী। — নিজস্ব চিত্র।

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিচার্য বিষয়ে বদল চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবকে চিঠি দিলেন বার অ্যাসোসিয়েশনের কয়েক জন আইনজীবী। বৃহস্পতিবারের চিঠিতে তাঁদের আবেদন, পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার যে মামলাগুলি বিচারপতি মান্থাকে দেওয়া হয়েছে তা পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে তাঁরা বয়কটের পথে যেতে পারেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

‘মাস্টার অফ রস্টার’ হিসাবে বুধবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি কয়েক জন বিচারপতির বিচার্য বিষয় বদল করেন। এত দিন রাজ্যে পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার বিভিন্ন মামলা শুনতেন বিচারপতি শম্পা সরকার। এখন তাঁকে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত মামলা। আর বিচারপতি সরকারের বেঞ্চের মামলাগুলি যাচ্ছে বিচারপতি মান্থার বেঞ্চে। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি বেঞ্চের বিচার্য বিষয় বদল করা হয়েছে। তবে বাকিদের ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি না থাকলেও, বিচারপতি মান্থার বিচারের বিষয় পরিবর্তন নিয়ে আপত্তি জানান আইনজীবীদের একাংশ।

বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসুমল্লিকের কথায়, ‘‘মামলার বেঞ্চ পরিবর্তন হতেই পারে। তা নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তিন মাসের কম সময়ে অন্য বেঞ্চে যে ভাবে পাঠানো হল তা নিয়মবিরুদ্ধ। কেন বিচারপতি মান্থার বেঞ্চে পুলিশের মামলা পাঠানো হচ্ছে? তিনি এক পক্ষের হয়ে একাধিক রায় দিয়েছেন। তা ছাড়া তাঁর নামে থানায় অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণেই প্রতিবাদ।’’ তিনি আরও জানান, আমাদের আবেদন না মানা হলে শুক্রবার থেকে প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কটের দিকে যেতে পারি।

Advertisement

আবার অন্য পক্ষের আইনজীবীরা এর সমালোচনা করেন। এক আইনজীবী বলেন, ‘‘নতুন অনেক বিচারপতি এসেছেন। ফলে রস্টার পরিবর্তন করা দরকার ছিল। তাই প্রধান বিচারপতি করেছেন। আর বিচারপতি মান্থার এজলাসে তো আগে পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার মামলা ছিল। আবার সেই মামলাগুলি তাঁর কাছে ফিরে এল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement