National Education Policy

শিক্ষানীতি ও কাজের প্রশ্নে একজোট ১৫টি সংগঠন

এ দিনের সভায় অতিথি বক্তা হিসেবে যোগ দিয়ে প্রাক্তন ছাত্রনেতা তথা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে যুব সম্প্রদায় ও শিক্ষার বিরোধী বলে তোপ দাগেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৪ ০৫:২৮
Share:

কলেজ স্ট্রিটে ছাত্র সংগঠনগুলোর যৌথ সমাবেশে (বাঁ দিকে) সুজন চক্রবর্তী, নিরাপদ সর্দার (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

শিক্ষা ও কাজের দাবিকে সামনে রেখে দেশের ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারের বিরুদ্ধে এবং নতুন শিক্ষানীতির প্রতিবাদে বুধবার কলেজ স্ট্রিটে সভা করল ‘ইউনাইটেড স্টুডেন্টস অব ইন্ডিয়া’ নামে ১৫টি সর্বভারতীয় ছাত্র সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। বিষয়টিকে সামনে রেখে দেশের অন্য নানা শহরেও এমন সভা করছে মঞ্চটি। এ দিনের সভায় অতিথি বক্তা হিসেবে যোগ দিয়ে প্রাক্তন ছাত্রনেতা তথা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে যুব সম্প্রদায় ও শিক্ষার বিরোধী বলে তোপ দাগেন।

Advertisement

সভায় চারটি বাম দলের ছাত্র সংগঠন ছাড়াও এসইউসি ও সিপিআইএমএল (লিবারেশন) ছাত্র সংগঠন যোগ দেয়। উপস্থিত ছিলেন ডিএমকে এবং আরজেডি-র ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরাও। হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দু’টি মিছিল এসে কলেজ স্ট্রিটে পৌঁছয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ট্রাকের উপরে অস্থায়ী মঞ্চে সভাটি হয়। বক্তৃতা করেন এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক দীপ্সিতা ধর, রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে প্রমুখ।

সুজন বেকারত্ব, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা-সহ নানা প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্র ও রাজ্যকে এক বন্ধনীতে রেখে তোপ দাগেন। তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলকে লক্ষ করে তাঁর বক্তব্য, “দেশের মানুষের কথা ভাবে না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান নিয়ে কোনও চিন্তা নেই। শুধু চায় কী করে ক্ষমতা ধরে রাখবে।” সুজনের সংযোজন, “তৃণমূল, বিজেপি মানুষের জন্য রাজনীতি করে না। ওঁদের নেতারা শুধু নিজেদের ধান্দাটা গুছিয়ে নিতে চান। ওঁরা দিনে তৃণমূল, রাতে বিজেপি।”

Advertisement

সভায় সন্দেশখালির প্রসঙ্গও উঠেছিল। অতিথি বক্তা হিসেবে সভায় যোগ দিয়ে খেতমজুর আন্দোলনের নেতা নিরাপদ সর্দার বলেন, “ছাত্র-ছাত্রীরাই পারেন কৃষক, শ্রমিক, খেতমজুর, মহিলা-সহ সমাজের যে কোনও শ্রেণির মানুষের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনের পাশে এসে দাঁড়াতে। এই সমাবেশ থেকে ফিরে গিয়ে সন্দেশখালির আগুন রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে দিতে হবে।” বিজেপির বিরুদ্ধে সন্দেশখালি নিয়ে বিভাজনের রাজনীতি, রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করলে ‘জেলে ঠাঁই’ হবে বলেও অভিযোগ করেন নিরাপদ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement