কলকাতা পুরসভা। প্রতীকী ছবি
কলকাতা পুরসভার কর্মীদের বদলি সংক্রান্ত নীতি তৈরি করেছে কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি কর্মিবর্গ বিভাগ দু’টি বদলির নির্দেশিকা জারি করেছে। একটিতে দেখা যাচ্ছে, ৭৬ জনের মধ্যে ৩৭ জনই লাইসেন্স বিভাগের কর্মী, যাঁদের সিংহভাগ ইনসপেক্টর পদাধিকারী। অপরটিতে গ্রেড-১ কর্মচারী— ৩১ জনের মধ্যে ২৮ জনই লাইসেন্স বিভাগের। গ্রেড-২ পদমর্যাদার যে তিনজনের বিভাগ বদল হয়েছে। কলকাতা পুরসভার প্রশাসনের এত বড় বদলি খুব বেশি দেখা যায় না। তাই এই সংক্রান্ত বিষয়ে মেয়রকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে।
ফিরহাদ বলেন, ‘‘যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। ট্রেড লাইসেন্স সহ বহু জায়গায় অনলাইন পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। তাই কোনও বিভাগে কর্মী প্রয়োজন হলে, যেখানে এখন কর্মীদের প্রয়োজন কম। সেই বুঝে কর্মীদের বদলি করে দেওয়া হচ্ছে।’’ এই সংক্রান্ত বিষয়ে পুরসভা একটি নীতিও আনছে বলে জানিয়েছেন মেয়র। এতদিন কলকাতা পুরসভায় সেভাবে বদলির কোনও স্পষ্ট নীতি ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি পুরসভার এই পদক্ষেপে বদলির নীতি কার্যকর হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এমন কোনও বিভাগে যেখানে কর্মী ঘাটতি রয়েছে। সেখানেই কর্মী অদলবদল শুরু করেছে তাঁরা। তাই লাইসেন্স বিভাগের বাড়তি কর্মীদের অন্য কাজে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতিলাইসেন্স বিভাগের বিপুল সংখ্যক কর্মীকে অন্য বিভাগে বদলির নির্দেশিকা জারি হয়েছে। যদিও অন্য বিভাগেরও বেশ কিছু কর্মীর রদবদল হয়েছে। একসঙ্গে ১১০ কর্মীকে এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে বদলি করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। লাইসেন্স বিভাগের অনলাইন প্রক্রিয়া ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। ফলে এখন লাইসেন্স বিভাগে এতবেশি কর্মীর প্রয়োজন হচ্ছে না। তাই অন্য বিভাগের কর্মীর ঘাটতি মেটাতে লাইসেন্স বিভাগের কর্মীদের বদলি করা হয়েছে। তাছাড়া পুর প্রশাসনে স্বচ্ছতা আনতে এই বদলি প্রয়োজন ছিল বলেই মনে করছে পুরসভারই একাংশ আধিকারিকরা।