প্রতীকী ছবি।
আচমকা হানা দিয়ে ডাকাতি করে পালানো নয়। একেবারে তল্লাটে ভাড়াটে সেজে, খোঁজখবর নিয়ে তবেই স্বর্ণ-ঋণ প্রদানকারী সংস্থায় হামলা চালাত ডাকাত দল। গত বৃহস্পতিবার বিহারের বৈশালী জেলার বিদপুর থেকে রাজু মালি নামে ডাকাত দলের এক চাঁইকে পাকড়াও করার পর এমনই দাবি করছেন সিআইডির গোয়েন্দারা। তাঁরা জানান, এক বছর আগে বর্ধমানে একটি স্বর্ণ-ঋণ প্রদানকারী সংস্থার শাখায় হানা দিয়ে ৩০ কেজি সোনা লুঠ করে রাজুর দলবল। ২০১৯ সালে শিলিগুড়িতে এমনই এক সংস্থায় ৪৫ কেজি সোনা লুঠের ঘটনাতেও রাজু ও তার দলবল জড়িত বলেও পুলিশ সূত্রের দাবি।
সিআইডি সূত্রের দাবি, রাজু বিহারের দাগি দুষ্কৃতী সুবোধ সিংহের ডান হাত। সুবোধ বর্তমানে জেলবন্দি। জেলে থেকেই রাজুকে নির্দেশ দিয়ে সে এই সব অপরাধ করাত। সুবোধের বিরুদ্ধে এ রাজ্যে ব্যারাকপুর এবং আসানসোল উত্তর থানায় মামলা রয়েছে। তাকে এ রাজ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। তামিলনাড়ু, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, নাগপুর, ছত্তীসগঢ়, পঞ্জাবে ডাকাতিতে অভিযুক্ত সুবোধ, রাজু এবং তাদের দলবল।
সিআইডি সূত্রের দাবি, রাজু ও তার দলবল কোনও এলাকায় এসে ভুয়ো নথি দিয়ে ঘর ভাড়া নিত। তার পর এলাকায় সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরবাইকও কিনত। সেই মোটরবাইক নিয়েই মূলত স্বর্ণ-ঋণ প্রদানকারী সংস্থায় রেইকি করত। এমন শাখা বেছে নিত যেখান থেকে পালানো তুলনায় সহজ। এর পর ক্রেতা সেজে সংশ্লিষ্ট শাখায় যেত এবং প্রচুর সোনা বন্ধক রাখার টোপ দিত। ফাঁকা সময়ে যাতে ডাকা হয় তাই ফোন নম্বরও দিয়ে আসত। পুলিশ জানতে পেরেছে, ভুয়ো নথি দিয়েই ওই ফোন নম্বরের সিম কার্ড কিনত রাজুরা। প্রচুর পরিমাণে সোনা বন্ধক রাখার লোভে ফাঁকা সময়ে শাখা থেকে ফোন এলেই গিয়ে ডাকাতি করত রাজুরা। পালানোর সময়ে মোটরবাইক ফেলে দিত। ফলে বাইকের নম্বর পেলেও পুলিশ অপরাধীদের নাগাল পেত না।