—প্রতীকী ছবি।
চারটি বিধানসভার উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে কোনও ঘাটতি যে বরদাস্ত করা হবে না, তা স্পষ্ট করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সূত্রের দাবি, ১০ জুলাই হতে চলা রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা এবং মানিকতলা উপনির্বাচনের জন্য সে ভাবেই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে দিল্লির নির্বাচন সদন।
যদিও বিশ্লেষকদের একাংশের বক্তব্য, গত লোকসভা ভোটেও বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা জানানো হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে যে এলাকাগুলিতে গোলমাল হয়েছিল, সেখানে তেমন ভাবে দেখা মেলেনি বাহিনীর। যদিও মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর সূত্রের পাল্টা দাবি, বাহিনীর উপস্থিতির জন্যই লোকসভা ভোটে মোটের উপর গোলমাল অনেক কম হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাজ্য পুলিশ বাদ দিলে রায়গঞ্জ এবং মানিকতলায় প্রতি বুথে গড়ে তিন জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হবে। রানাঘাট দক্ষিণেও বুথপিছু কম-বেশি একই সংখ্যায় জওয়ান থাকবেন। বাগদায় গড়ে দু’জন করে মোতায়েন হবেন বুথ পিছু।
প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জে ১২ কোম্পানি (৮৬৪ জন, এক কোম্পানিতে ৭২ জনের হিসাবে), রানাঘাট দক্ষিণে ১৫ কোম্পানি (১০৮০ জন), বাগদায় ১৬ কোম্পানি (১১৫২ জন) এবং মানিকতলা বিধানসভায় ১২ কোম্পানি (৮৬৪ জন) কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তার মধ্যে প্রতিটি বিধানসভায় এক কোম্পানি করে বাহিনী থাকবে স্ট্রংরুম পাহারা দেওয়ার জন্য।
রায়গঞ্জে ৬৭২ জন বুথের নিরাপত্তায় এবং ১৯২ জন থাকবেন কুইক রেসপন্স টিমে (কিউআরটি)। রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভায় ৯০০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান বুথের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত হবেন। কিউআরটি-তে রাখা হবে ১৮০ জনকে। বাগদায় বুথ ও কিউআরটি-তে ব্যবহার করা হবে যথাক্রমে ৯৬০ এবং ১৯২ জনকে। মানিকতলা বিধানসভার বুথের নিরাপত্তায় থাকবেন ৭২০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। সেখানকার কিউআরটি-তে থাকবেন ১৪৪ জন। এ ছাড়াও, মানিকতলাতেই অতিরিক্ত আরও এক প্লাটুন কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হবে কিউআরটি-র জন্য।